![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দারা এখন থেকে কনটেন্ট সেন্সর করার অভিযোগে ফেইসবুক, টুইটার এবং ইউটিউবের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিতে পারবে। সোশ্যাল মিডিয়াগুলো কিভাবে তাদের প্লাটফর্ম মডারেট করবে এ বিষয়ে ইউনাইটেড স্টেটস কোর্ট অব আপিলসের এক প্যানেল এ বিষয়ক রায় দিয়েছেন। ফলে বড় বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলো সামনে এখন দুটি পথ হয় তাদেরকে অনেক ব্যবহারকারীদের থেকে মামলার মুখে পড়তে হবে অথবা বেশিরভাগ কনটেন্ট মডারেশন বন্ধ করে তাদের স্পেস ব্যবহারকারীদের জন্য ছেড়ে দিতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর কনটেন্ট মডারেশন নিয়ে গত বছরই টেক্সাসে একটি আইন পাস হয়। কিন্তু সেসময় এ বিষয়ক রায়টি আটকে দেয়া হয়েছিলো। অবশেষে সম্প্রতি টেক্সাসের এই আইনটি বাস্তবায়নের পক্ষে রায়টির প্রভাব বহুদূর গড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সবচেয়ে দ্রুত প্রভাব হিসেবে প্রযুক্তি জায়ান্টদের জন্য এটি নতুন ধরনের আইনি ঝুঁকি তৈরি করলো।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনটি বাস্তবায়ন শুরু হলে মামলার সম্ভাব্য ঢেউ সৃষ্টি হবে যা সামাল দেয়া বেশ ব্যয়সাপেক্ষ এবং প্রতিহত করা কঠিন হবে।
টেক্সাসের এই আইনটির ফলে মাসে ৫০ মিলিয়ন অথবা এরও বেশি মার্কিন ব্যবহারকারী রয়েছে এমন যে কোন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের জন্য ‘ব্লক, নিষিদ্ধ, অপসারন, প্লাটফর্ম থেকে বের করে দেয়া, বিধিনিষেধ আরোপ, সমান প্রবেশাধিকার না দেয়ার’ মতো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
আইন বিশেষজ্ঞরা আরো বলেছেন, টেক্সাসে সোশ্যাল মিডিয়াগুলো মূলত কিভাবে কার্যক্রম পরিচালিত করবে তা নিয়ে ব্যাপক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ব্যবহারকারীদের অনলাইন স্পেস ঠিক কেমন হবে, সেখানে কেমন কনটেন্ট পাওয়া যাবে সে বিষয়েও প্রশ্ন উঠছে।
সূত্র : সিএনএন/আরএপি