![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: প্রথম কোন দেশ হিসেবে মহাকাশে স্যাটেলাইট বিরোধি ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও ন্যাশনাল স্পেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান কমলা হ্যারিস এ কথা জানিয়েছেন। তার মতে এ ধরনের পরীক্ষাগুলো ছিলো বেপরোয়া ও বিপদজনক।
যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত এবং রাশিয়া এই দেশগুলো প্রায়ই ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা সম্পন্ন করে এবং তাদের এ কর্মকান্ডে মহাকাশে ধ্বংসাবশেষ তৈরি হয়। কমলা হ্যারিস এই পরীক্ষাগুলোকে বিপদজনক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ক্যালিফোর্নিয়ায় ভানডেনবার্গ স্পেস ফোর্স বেজে দেয়া ভাষণে হ্যারিস বলেন, মহাকাশে দায়িত্বশীল ব্যবহার নিশ্চিত করতে বাইডেন প্রশাসনের কৌশলের অংশ হিসেবে ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
হ্যারিস আরো বলেন, প্রত্যক্ষ অ্যাসেন্ট এন্টি-স্যাটেলাইট (এএসএটি) ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ করতে পারলে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথ সুরক্ষিত থাকবে। অন্যান্য দেশগুলোকে তাদের পথ অনুসরনের আহ্বান জানিয়েছেন হ্যারিস।
তিনি আরো বলেন, ‘এই ধ্বংসাবশেষগুলো আমাদের মহাকাশচারীদের নিরাপত্তা, স্যাটেলাইট এবং ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক উপস্থিতির ক্ষেত্রে ঝুঁকি সৃষ্টি করবে।’
হ্যারিস বলেন, একটুকরো মহাকাশ ধ্বংসাবশেষের আকার একটি বাসকেট বলের সমান; যা ঘন্টায় হাজার হাজার মাইল ভ্রমন করে, উপগ্রহ ধ্বংস করে দিতে পারে। এমনকি এই ধ্বংসাবশেষের আকার যদি সামান্য বালুকণা পরিমানও হয় তাহলেও তা ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হতে পারে।’
যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস ফোর্সের ডাটাবেজে পাওয়া তথ্যানুযায়ি, গত বছরের নভেম্বরে রাশিয়া পরীক্ষামূলকভাবে একটি অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল উৎক্ষেপন করে। এটি নি¤œকক্ষপথে সোভিয়েত আমলের গুপ্তচর স্যাটেলাইটে আঘাত করে। এতে এক হাজার ৬৩২ খন্ড ধ্বংসাবশেষ তৈরি হয়। এই ধ্বংসাবশেষের টুকরোগুলো কক্ষপথে সক্রিয় স্যাটেলাইটগুলোর জন্য বিপদজনক। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশচারীরা নিজেদের সুরক্ষার জন্য তাদের ডকড ক্যাপসুলে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন; যা তাদের কাজে বিঘœ সৃষ্টি করে। এসব ধ্বংসাবশেষগুলোর সঙ্গে যদি সক্রিয় স্যাটেলাইটের সংঘর্ষ হয় তাহলে জিপিএস এবং আবহাওয়া সতর্কবার্তার মতো কার্যক্রমগুলো লন্ডভন্ড হয়ে যেতে পারে।
বিবিসি/আরএপি