![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : শাওমি ভারতের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মানু কুমার জৈনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে ভারতের কেন্দ্রিয় আর্থিক অপরাধ প্রতিরোধ সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট।
চীনা কোম্পানি শাওমির ভারতীয় শাখা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আইন মেনে চলছে কিনা সে বিষয়ক তদন্তের অংশ হিসেবেই মানু কুমারকে তলব করা হয়েছে বলে বলা হয়েছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শাওমির কার্যক্রম নিয়ে তদন্ত করছে দ্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। সম্প্রতি মানু কুমার জৈনকে এর কর্মকর্তাদের সামনে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জৈন বর্তমানে দুবাইভিত্তিক শাওমির গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। তবে তিনি কি কারনে এখন ভারতে সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়।
তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে শাওমির একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তাদের কোম্পানি ভারতের সব আইন মেনে চলে এবং ‘সব ধরনের নীতিমালার সাথে সম্পূর্ণ অনুগত’।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘চলমান তদন্তের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব তথ্য রয়েছে তা নিশ্চিত করতে আমরা কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করবো।’
এদিকে শাওমি ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে এ ধরনের কার্যক্রম কোম্পানিটি নিয়ে ভারতের নজরদারি আরও বৃদ্ধির আভাস দিচ্ছে। কর ফাঁকির অভিযোগ তদন্তের অংশ হিসেবে গত ডিসেম্বরেই কোম্পানিটির ভারতীয় কার্যালয়ে তল্লাশী চালায় পুলিশ। একইসময়ে চীনের আরও কিছু স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানির ভারতীয় কার্যালয়ে তল্লাশী চালানো হয়।
এ বিষয়ে জৈন কোনো মন্তব্য করেননি। এছাড়া ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের পক্ষ থেকেও কিছু জানানো হয়নি।
অবশ্য কোনো তদন্ত চলাকালে সে বিষয়ে জনসম্মুখে কিছু জানায় না সংস্থাটি। জানা গিয়েছে সংস্থাটি শাওমি ইন্ডিয়ার বর্তমান ব্যবসায়িক কাঠামো, চুক্তি এবং চীনে তাদের মূল শাখা নিয়ে তদন্ত করছে। এছাড়া মূল কোম্পানির সঙ্গে শাওমি ইন্ডিয়ার রয়্যালিটি পেমেন্টসহ বিভিন্ন অর্থ প্রবাহগুলোও যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে শাওমির জৈনকে উদ্দেশ্য করে পাঠানো এক নোটিশে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট কোম্পানির বিভিন্ন নথিপত্র চেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এসব নথিপত্রের মধ্যে বিদেশি ফান্ড, শেয়ারহোল্ডার, তহবিলায়নের ধরন এবং ব্যবসা পরিচালনাকারী শীর্ষস্থানীয় নির্বাহীদের তথ্য চাওয়া হয়।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের দেয়া তথ্যানুযায়ি, ২০২১ সালেও ভারতে স্মার্টফোন বিক্রির দিক থেকে শীর্ষ অবস্থানে ছিলো শাওমি। এ সময় কোম্পানিটির বাজার শেয়ার ছিলো ২৪ শতাংশ। এরপর ১৯ শতাংশ বাজার শেয়ার নিয়ে ভারতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসং ইলেক্ট্রনিকস।
আরএপি/১৯০৪