ডাকঘরকে প্রচলিত পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে - মোস্তাফা জব্বার

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, মানি অর্ডারের জায়গায় নগদ যেমন কাজ করছে তেমনি ডাকঘরকে ডিজিটাল যুগের উপযোগী করতে হবে । ডাকঘরকে প্রচলিত পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে। ডিজিটাল যুগের অপার সম্ভাবনার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ডাকঘরকে ডিজিটাল যুগের উপযোগী প্রযুক্তি প্রয়োগের বিকল্প নেই। দেশের একটি শ্রেষ্ঠ সেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডাকঘরকে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য সরকার সকল সহায়তা করতে প্রস্তুত।

মন্ত্রী সোমবার ঢাকায় ডাকভবন মিলনায়তনে ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস নগদ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

ডাকঘরকে ডিজিটাইজেশনে সম্প্রতি প্রণীত ‘ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাব এর পরামর্শগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে ডাকসেবার আমুল পরিবর্তনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

Techshohor Youtube

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: খলিলুর রহমান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: সিরাজ উদ্দিন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। নগদ-এর নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম কর্মশালায় নগদ সম্পর্কিত উপস্থাপনা পেশ করেন।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপি ডাক বিভাগের বিস্তীর্ণ অবকাঠামো ও নেটওয়ার্ক দেশের বড় সম্পদ। এগুলো কাজে লাগাতে না পারলে আমরা কেউই দায় এড়াতে পারবো না। ডাকঘরের বিদ্যমান জনবলের সবাই ডিজিটাল দক্ষ নয়। ডিজিটাল ডাকঘরের জন্য তাদেরকে ন্যুনতম ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ডিজিটাল দক্ষতা না থাকলে সামনের দিনে সবাইকে অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়তে হবে।

কুরিয়ার সার্ভিসের সাথে ডাকঘরের তুলনামূলক পার্থক্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, কুরিয়ার সার্ভিসের পণ্য পরিবহনের সক্ষমতা আছে কিন্তু সারা দেশে ঘরে ঘরে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার সক্ষমতা আছে কেবলমাত্র ডাকঘরের। নগদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা বিশেষ করে কেওয়াইসি পদ্ধতি ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের ক্ষেত্রে দেশের প্রথম এবং সফল একটি পদ্ধতি বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

তিনি দেশের প্রতিটি ডিজিটাল ডাকঘরের উদ্যোক্তাদের নগদের সাথে সম্পৃক্ত করতে পারলে নগদের প্রবৃদ্ধি আরও বৃদ্ধি পাবে বলে বলেন। মন্ত্রী বলেন, ভয়েস কলের যুগ শেষ হয়ে আসছে সামনের দিনে পৃথিবী পুরোপুরি ডাটা কলের যুগে প্রবেশ করবে। ডাকঘর একটি প্রাচীণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে অস্তিত্বের সংগ্রামে টিকে থাকার জন্য প্রযুক্তিকে গ্রহণ করা ছাড়া কোন পথ নেই । মন্ত্রী বলেন, সময়ের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে না পারার জন্য ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়েছে। কাজেই ডাইনোসোরের ইতিহাস হওয়া কাম্য হতে পারে না । প্রযুক্তি গ্রহণ না করলে সভ্যতার জন্য অপ্রয়োজনীয় হয়ে পরতে হবে। সেটা হতে দেওয়া যায় না উল্লেখ করে মন্ত্রী ডিজিটাল ডাকঘর প্রতিষ্ঠায় গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, ডাকঘর আর জরাজীর্ণ ডাকঘর হিসেবে পরিচিত থাকবে না।

ডাকঘর হবে ডিজিটাল। ডিজিটাল বাণিজ্যই হবে মূল বাণিজ্য। ডিজিটাল কমার্সের জন্য পণ্য পরিবহন ও বিতরণে ডাকঘরই হচ্ছে জনগণের সবচেয়ে বড় আস্থার জায়গা। ডাকঘরকে সেভাবেই গড়ে তোলা হবে বলে মন্ত্রী দৃঢ় অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।

সূত্র – প্রেস বিজ্ঞপ্তি

*

*

আরও পড়ুন