ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা নিয়ন্ত্রনে নীতিমালা করছে যুক্তরাষ্ট্র

টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা নিয়ন্ত্রনে রাখতে নতুন নীতিমালা তৈরি করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্রুত বর্ধনশীল এই শিল্পটি ‘অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠছে এবং আর্থিক স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করছে’ এমন উদ্বেগ থেকেই এতে লাগাম টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। কর্মকর্তাদের আগামী ১৮০ দিনের মধ্যে নীতিমালা সংক্রান্ত প্রস্তাব তৈরির নির্দেশ দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি নির্বাহি আদেশে স্বাক্ষর করেছেন।

হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে প্রযুক্তি খাতে আমেরিকার নের্তৃত্ব ধরে রাখার পাশাপাশি ভোক্তাদের সুরক্ষিত রাখাই তাদের লক্ষ্য।

সম্প্রতি বিটকয়েনের মতো ডিজিটাল সম্পদে বিনিয়োগের পরিমান ক্রমে বেড়ে চলেছে। পাঁচ বছরের মধ্যে এই বিনিয়োগ ১৪ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৩ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। অবশ্য কেউ কেউ আশঙ্কা করছে নীতিমালা বিনিয়োগের এ গতিকে থামাতে পারবে না।

Techshohor Youtube

চীনসহ বিশ্বের শতাধিক দেশ বর্তমানে কেন্দ্রিয় ব্যাংকের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ এবং অন্যদেশের সঙ্গে লেনদেনের ক্ষেত্রে ডিজিটাল মুদ্রার ব্যবহারের সুযোগ খুঁজছে অথবা পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করছে। হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা আরো বলছেন ‘বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থায় মার্কিন ডলারের কেন্দ্রিয় অবস্থানে হস্তক্ষেপ করতেই ’ তারা এমন কার্যক্রম গ্রহন করছে।

কেন্দ্রিয় ব্যাংকসহ এই ইস্যুটি নিয়ে গবেষণাকারী যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একাধিক প্রতিষ্ঠান বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি প্রতিক্রিয়া জানায় নি।

মার্কিন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ডিজিটাল সম্পদের ওপর  আমাদের সুসংহত এবং সংঘবদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গীর জন্য এটি হলো আমাদের জরুরীভাবে সংঘঠিত করার উপায়।’

কর্মকর্তারা আরো বলেছেন অন্যান্য পরিবর্তনের পাশাপাশি মুদ্রা পাচার বিষয়ক কঠোর নীতিমালা ও নিয়ন্ত্রন চাইছে তারা।

বিভিন্ন জরিপে দেখা গিয়েছে, প্রতি ১৬ জন আমেরিকানদের মধ্যে একজনই ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করেছে। ব্যাংকগুলোয় কম সুবিধা পেয়ে থাকে এমন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরাই ডিজিটাল মুদ্রায় বিনিয়োগ করে থাকে বেশি।  

চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে এই ইস্যুটির ওপর আরো জোর দেয়া হচ্ছে। কারন রাজনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা অনেকটাই শিথিল হবে।

কোন ধরনের নীতিমালা আসছে সে বিষয়ে পরিস্কার ধারণা পেতে অনেকেই সরকারের কাছে ধর্না দিচ্ছে। মূলত নীতিমালা অনুযায়ি নিজেদের ব্যবসা সাজাতেই তারা এ বিষয়ক ধারণা পেতে চাইছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন সরকারি নজরদারির খবরে সম্প্রতি ক্রিপ্টোর দাম কমেছে।

বিবিসি/আরএপি

*

*

আরও পড়ুন