কিশোরীর আত্মহত্যা: প্রমান সরবরাহে বিলম্ব মেটার

টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: ইনস্টাগ্রামে ক্ষতিকর এবং আত্মহত্যার গ্রাফিকস ছবি দেখে প্ররোচিত হয়ে ২০১৭ সালে আত্মহননের পথ বেছে নেন লন্ডনের কিশোরী মলি রাসেল (১৪)। তার মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে ইনস্টাগ্রামের সত্ত্বধিকারি মেটা প্রয়োজনীয় প্রমানাদি সরবরাহে বিলম্ব করছে বলে অভিযোগ করেছে মলির পরিবার। বিষয়টি নিয়ে মেটার এই কালবিলম্ব নিয়ে ‘অসন্তোষ ও হতাশা’ প্রকাশ করেছেন তারা।

প্রাক তদন্ত পর্যালোচনায় মলির পরিবারের আইনজীবি জানিয়েছেন দুই বছর আগেই তথ্যগুলো ‘দেয়া উচিত ছিলো।’ মেটার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আদালতে জানানো হয়েছে, পরিবারটির সমালোচনা কোম্পানির পক্ষ থেকে ‘গ্রহনযোগ্য নয়।’

উল্লেখ্য, মলি আত্মহত্যা করার আগে দেখেছেন এমন ১২ হাজার কনটেন্ট সরবরাহ করেছে মেটা। তবে এসব কনটেন্টের অনেকগুলোই মলির পরিবার আগে দেখে নি। নতুন করে সরবরাহকৃত এসব তথ্যের কারনে মলির মৃত্যু নিয়ে তদন্তের কাজ আগামি সেপ্টম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে যাবে। অথচ এই তদন্ত আগামি মাস থেকেই শুরু হওয়ার কথা ছিলো।

Techshohor Youtube

তদন্তের কাজ পিছিয়ে যাওয়া মলির বাবা ইয়ান রাসেল বলেছেন ‘এটি আমাদের পরিবারের জন্য বড় ধাক্কা।’ তিনি এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, আমরা ‘ইনস্টাগ্রামে মলির কার্যক্রম ও সময় কাটানো নিয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে আসছি অনেক বছর ধরেই কিন্তু মেটা তা এখন প্রকাশ করছে।’

মেটার সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, ‘হাজার হাজার কোটি ডলার মূল্যমানের একটি আন্তর্জাতিক মানের কোম্পানি হওয়া সত্ত্বেও একটি শোকাহত পরিবারকে তাদের সন্তানের মৃত্যু তদন্তে প্রশ্নের জবাব দিতে এতোটা সময় অপেক্ষা করানো খুবই লজ্জাজনক ব্যাপার।’

নতুন প্রমানপত্রে ৩৬ হাজার পৃষ্ঠার কনটেন্ট রয়েছে।

মেটার একজন আইনজীবি জানিয়েছেন, টেক জায়ান্টটি ‘প্রকৃতপক্ষে গঠনমূলক হওয়ার চেষ্টা করেছে’ এবং তদন্ত কর্মকর্তাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে যতোটা সম্ভব দ্রুত কাজ করেছে।

তদন্ত কর্মকর্তা অ্যান্ড্রু ওয়াকার এর আগে বলেছিলেন, প্রমানাদি সরবরাহে বিলম্ব নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন।

মলি তার আত্মহত্যার ছয়মাস আগে দিনে ১২০ বারের বেশি ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করেছেন। এছাড়া ১১ হাজার কনটেন্ট লাইক করেছেন এবং তিন হাজার বারের বেশি কনটেন্ট শেয়ার করেছেন;  যারমধ্যে ভিডিও রয়েছে এক হাজার ৫০০টি।

*

*

আরও পড়ুন