![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ই-কমার্সে বিরিশিরির বিলুপ্তপ্রায় তাঁতপন্য ছড়িয়ে দিতে, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেন ইউএনও ।
বিলুপ্তপ্রায় ২০ টি তাঁতকলের মাঝে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক মহোদয় ১০ টি তাঁতকল সরকারি সহযোগিতায় মেরামত করে চালু করা, প্রয়োজনীয় সুতা ও অন্যান্য মালামালের সংস্থান করে দেন। ৭ দিনের মাঝে তাঁতকলগুলো আবারও খটখট শব্দে উৎপাদন শুরু করতে পারে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপস্থিত থেকে পুরো বিষয়টি তদারকি করেন। সেইসাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাঁতশিল্পের সাথে জড়িত তাঁতিদের প্রতিমাসে নিয়মিত তাঁতপণ্য অর্ডার করবেন আশ্বাস দেন।
২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর ( Women and e-Commerce Trust – WE ) উই প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশার আগ্রহে শুরু হয় ময়মনসিংহ বিভাগের বিলুপ্তপ্রায় তাঁতশিল্প নিয়ে কাজ করার প্রাথমিক ধাপ।
তিনি ২০২১ সালের ২ই জানুয়ারি উই ময়মনসিংহ বিভাগীয় মিটআপে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জনাব কে এম খালেদকে ময়মনসিংহ বিভাগের তাঁতশিল্পকে পুনঃজাগরন করার জন্য অনুরোধ করেন । উই সরকারের কাজে যথাসম্ভব সাহায্য করার আশ্বাস প্রদান করেন। পুরোনো ঐতিহ্যকে নতুন করে বাচিঁয়ে রাখার জন্য উইয়ের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
শুরু নতুন অধ্যায়। উইয়ের প্রতিনিধিরা কাজ শুরু করেন মাঠ পর্যায়ে। এরই ধারাবাহিকতায় ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার বিলুপ্তপ্রায় তাঁতশিল্পকে কাজ শুরু করা হয়। উইয়ের প্রতিনিধি সেখানে গিয়ে মাঠপর্যায়ে একটি প্রতিবেদন করেন। পরবর্তীতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয় ও জাতীয় তাঁতবোর্ডে উক্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। সেই সাথে অনলাইনে ব্যাপক প্রচারণা ও উই প্লাটফর্মের ময়মনসিংহ বিভাগের তাঁতশিল্প নিয়ে লেখালেখির কারণে তাঁতশিল্পের বিষয়টি উর্ধতন কতৃপক্ষের নজরে আসে।
ময়মনসিংহের নেত্রকোনা জেলার বিরিশিরি উপজেলার তাঁতকলগুলো অকেজো হয়ে ছিল বেশ কয়েক বছর। গত একবছর যাবত উইয়ের নেত্রকোনা প্রতিনিধি রিমি আক্তার ওনার টিম নিয়ে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসন পর্যায়ে কয়েকদফা মিটিং করেছেন।
২০২১ সালের আগস্ট মাসে প্রথম একটি জুম মিটিং এ নেত্রকোনা ডিসি কাজী আবদুর রহমান , বিরিশিরি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বিরিশিরি মহিলা সমবায় সমিতির পরিচালক বিনোদিনী রেমা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বিরিশিরির চেয়ারম্যান মহোদয় ও আরোও বেশকিছু তাঁতি ভাইবোন উপস্থিত হয় । উক্ত মিটিং থেকে নেত্রকোনা ডিসি দূর্গাপূর উপজেলার বিরিশিরির বিলুপ্তপ্রায় তাঁতশিল্প সচলের ঘোষনা করেন । তিনি কর্ম পরিকল্পনায় উইকে সংযুক্ত করে নেন।এরপর নেত্রকোনা উই টিম নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে।
দীর্ঘ দু বছর নানান প্রক্রিয়া শেষে গত শুক্রবার মিলল বিলুপ্তপ্রায় ২০ টি তাঁতকলের মাঝে ১০ টি তাঁতকল সরকারি সহযোগিতায় চালু করা, প্রয়োজনীয় সুতা ও অন্যান্য মালামালের সংস্থান ।
সূত্র – প্রেস বিজ্ঞপ্তি
৫ মার্চ / ২০২২ / তাতা