![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: মেটার প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ বেশ কয়েকটি উচ্চাভিলাষি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এআইকে তিনি ‘মেটাভার্স পুরোদমে চালু করার’ মূল চাবিকাঠি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। একটি লাইভস্ট্রিম প্রদর্শনীতে এআই ফিচার বিল্ডার বট ব্যবহার করে জুকারবার্গ একটি মৌলিক ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড তৈরি করেছেন। জুকারবার্গ একটি সর্বজনীন ভাষা অনুবাদক নির্মানের পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছেন।
জুকারবার্গ বলেছেন, ‘যে কোন কারো সঙ্গে যে কোন ভাষায় যোগাযোগ করতে সক্ষম হওয়া একটি বিশাল পরাশক্তি; যা আমার বহুদিনের স্বপ্ন।’
বিল্ডার বট মেটার কেয়ারওয়াক প্রকল্পের একটি অংশ। এটি এআই অ্যাসিসট্যান্টসকে উন্নত করা এবং মানুষ যখন হেডসেট অথবা চশমা ব্যবহার করে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির জগতে প্রবেশ করবে তখন ‘আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে বিশ্বকে দেখার’ সুবিধার জন্য এই প্রকল্পটি গ্রহন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জুকারবার্গ। পাশাপাশি তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মেটার ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে চালিত এআই সিস্টেমগুলিতে গোপনীয়তা রক্ষা করা হবে এবং তা স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল হবে।
মেটার এআই বিভাগের প্রধান ইয়ান লিকুন বলেছেন, গত ১০ বছর এআই নিয়ে গবেষণা করছে ফেইসবুক। তাদের রয়েছে এক্ষেত্রে বিশ্বের প্রথমসারির বিশেষজ্ঞরা।
গত জানুয়ারিতে ফেইসবুকের পক্ষ থেকে দেয়া এক ঘোষণায় বলা হয় তারা একটি নতুন এআই সুপারকম্পিউটার নির্মাণ করছে। ২০২২ সালের মাঝামাঝি এর নির্মাণ কাজ শেষ হলে এটি হবে বিশ্বের দ্রুততম সুপারকম্পিউটার।
পাশাপাশি জাকারবার্গ সুবিশাল মেটাভার্স নিয়েও কথা বলেছেন। মেটা কোয়েস্ট নামে ভিআর হেডসেটের মাধ্যমে মেটাভার্সের দুনিয়ায় প্রবেশ করতে হয় যেখানে মানুষ কাজ করতে, খেলতে এবং চ্যাট করতে পারে। এটি নির্মাণের জন্য ইউরোপে ১০ হাজার জনবল নিয়োগ দিতে যাচ্ছে মেটা।
তবে বড় বড় কোম্পানিগুলোকে মেটাভার্সের মতো ভার্চুয়াল জগত তৈরি করতে দেয়া উচিত কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সমালোচকরা। এমনকি এই মেটাভার্স ব্যবহারকারীদের জন্য কতটুকো নিরাপদ তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
বিবিসি/আরএপি