![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: চার বছর আগে ইলন মাস্কের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট ফ্যালকন হেভির সঙ্গে লাল চেরি রংয়ের একটা টেসলা রোডস্টার মহাকাশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলো। গাড়িটি এখনো মহাশূণ্যে ঘুরছে।
২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রকেটের ভেতরে গাড়িটি ভরে ফ্লোরিডা থেকে মঙ্গলগ্রহের উদ্দেশ্যে মহাকাশে আনুষ্ঠানিক যাত্রা করে। কিন্তু উৎক্ষেপনের কিছুক্ষণের মধ্যেই রকেট থেকে গাড়িটি ছিটকে যায়। তখন থেকেই মহাশূণ্যে ঘুরছে গাড়িটি। সূর্যের চারপাশে একটি আয়াতাকার কক্ষপথ নিয়ে পৃথিবী ও মঙ্গলগ্রহ থেকে অনেকটা দূরে গাড়িটি ঘুরে বেড়াচ্ছে। গাড়িটির ভেতরে একটি মানব পুতুল বসিয়ে দেয়া হয়েছে। স্পেসস্যুট পরিহিত পুতুলটির নাম ‘স্টারম্যান’। গাড়িটিতে জুড়ে দেয়া হয়েছে একটি ট্যাব।
কোন বৈজ্ঞানিক উদ্দেশ্য নিয়ে গাড়িটি রকেটের সঙ্গে মহাকাশে পাঠানো হয় নি। এটি ছিলো একটি পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপন। এর আগে ইলন মাস্ক বলেছিলেন, আমাদের কল্পনার থেকেও বেশি কিছু করতে যাচ্ছেন তিনি। আর এ হিসেবেই তিনি নিজের বিলাসবহুল টেসলা রোডস্টার পাঠিয়ে দেন মহাকাশে।
গত সোমবার পর্যন্ত মহাকাশের নো-ম্যানস ল্যান্ড অতিক্রম করে পৃথিবী থেকে ২৩৪ মিলিয়ন মাইল এবং মঙ্গল থেকে ২০০ মিলিয়ন মাইল দূরে অবস্থান করেছে। ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট হোয়ারইসরোডস্টার ডট কম গাড়িটিতে রাখা ট্যাব থেকে নাসার নেয়া তথ্য ব্যবহার করে এ কথা জানিয়েছে।
হার্ভাড স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিকসের জ্যোর্তিবিজ্ঞানী জোনাথন ম্যাকডোয়েল সিএনএন বিজনেসকে জানিয়েছেন, সম্ভবত রোডস্টার এখনও অক্ষত রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে মহাকাশের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় এটি উল্কাপিন্ডের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্যানুযাায়ি, গত চারবছরে রোডস্টার প্রায় ২ বিলিয়নন মাইল ভ্রমন করেছে ।
সিএনএন/আরএপি