ক্রটিপূর্ণ ফেরত আসা মোবাইল মেরামত করে বাজারে ছাড়ছে ভিভো

আল-আমীন দেওয়ান : দেশের বাজারে ক্রটিপূর্ণ ও গ্রাহকের ফেরত দেয়া স্মার্টফোনগুলো মেরামত করে বাজারে ছাড়ছে ভিভো।

গোডাউনে জমে থাকা এসব হ্যান্ডসেটের কারণে ই-ওয়েস্ট বা ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য অনেক বাড়ছে বলে এগুলো এভাবে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে।

টেকশহরের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, নতুন কেনা অনেক হ্যান্ডসেটে সমস্যা নিয়ে সেগুলো ‘রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির’ বিপরীতে ফেরত দেন গ্রাহকরা। পরে এসব ফোন চলে যায় গোডাউন বা ওয়্যারহাউজে। এগুলো ই-ওয়েস্ট হিসেবে জমা হতে থাকে।

Techshohor Youtube

আর এই ই-ওয়েস্ট কমানোর বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই পরিবশ অধিদপ্তর ভিভোর জন্য ‘রিফার্বিশ অথবা রিএসেম্বল’ হ্যান্ডসেটগুলো বাজারজাত করার অনুমতি দিয়েছে। তবে সেখানে বিটিআরসির অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা দেয়া হয়েছে।

ক্রটিপূর্ণ হ্যান্ডসেটগুলো ‘রিফার্বিশ অথবা রিএসেম্বল’ করে বাজারজাত করতে দেশে ভিভোর কারখানা স্থাপনকারী ‘বেস্ট টাইকুন এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড কোম্পানি’ ২০২১ সালের ১৪ নভেম্বর বিটিআরসির কাছে আবেদন করে।

যেখানে বলা হয়েছে, গোডাউনে জমে থাকা ক্রটির কারণে গ্রাহকের ফেরত দেয়া হ্যান্ডসেটগুলো ‘রিফার্বিশ অথবা রিএসেম্বল’ করে বিক্রি করলে ই-ওয়েস্ট কমবে। তা না হলে এর পরিমাণ দিন দিন বাড়বে এবং ভিভোসহ পরিবেশের জন্য হুমকি।

ভিভো বলছে, খুব সামান্য ক্রটির কারণে জমে থাকা মোবাইল ফোনগুলো পুন:সযোজন করে আগের দামের চেয়ে কম দামে বিক্রি করলে বাংলাদেশের জনগণ উপকৃত হবে। তারা এসব ফোনের বিক্রয়োত্তর সেবা নতুন ফোনের মতো দেবেন। গ্রাহক এসব ফোন কিনতে কোনোভোবে প্রতারিত হবেন না বরং নিম্ন আয়ের মানুষ কমদামে ভালো স্মার্টফোন কেনার সুযোগ পাবেন।

নারায়ণগঞ্জে ভিভোর কারখানা ও বেস্ট টাইকুন এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড কোম্পানির কার্যালয়

এরপর বিটিআরসি বিষয়টি নিয়ে নানা যাচাই-বাছাই শেষে ১০টি শর্ত দিয়ে এসব হ্যান্ডসেট বাজারজাত করার অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

এরমধ্যে রয়েছে, এই অনুমতি শুধ স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত, সংযোজিত বা পুন:সংযোজিত ভিভো ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

এসব হ্যান্ডসেটের বক্সের গায়ে ‘রিফার্বিশ’ লেখা থাকতে হবে। হ্যান্ডসেটের দাম এমআরপি হতে অবশ্যই কম হতে হবে এবং প্রতিটি হ্যান্ডসেটের অগের মূল্য ও বর্তমান মূল্যের বিষয়ে বিটিআরসিকে জানাতে হবে।

এছাড়া আইএমইআই নম্বর জমা দিয়ে এসব হ্যান্ডসেট বিক্রির আগে বিটিআরসির অনুমতি নিতে হবে। ওয়ারেন্টি দিতে হবে নতুন ফোনের মতোই। বিটিআরসি চাওয়া মাত্র এসব হ্যান্ডসেটের বিষয়ে সব তথ্য দিতে হবে । অনুমতির বিষয়ে যেকোনো পরিবর্তন যেকোনো সময় করতে পারবে বিটিআরসি। নির্মাতা কোম্পানির এনলিস্টমেন্টের সব শর্ত এই অনুমতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

আরও শর্তের মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশের ভেতরের পুরোনো মোবাইলের পার্টস ব্যবহার করা এবং বাইরে হতে পুরোনো ও ব্যবহৃত মোবাইলের পার্টস ও কম্পোনেন্ট আমদানি করা যাবে না। রয়েছে বিটিআরসি, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অরোপিত সব শর্ত ও বিধি-বিধান মানার বাধ্যবাধকতা।   

আরও পড়ুন

স্মার্টফোন প্রযুক্তিতে ভিভো : ফ্ল্যাশব্যাক ২০২১   

বাজারে আসছে ভিভো ভি২৩ ৫জি, থাকবে কালার চেঞ্জিং গ্লাস

২০২১ এর ভিভো’র টপ ৫ স্মার্টফোন

*

*

আরও পড়ুন