কে এই ‘মিনি কাবাব’ হাসবুল্লাহ? কেনই বা সে সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন সেনসেশন ?

টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: গতকাল আইপিএলের দল কলকাতা নাইট রাইডার্স-র অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের একটি পোস্ট দেখে চোখ আটকে গেল! সেখানে স্ট্যাটাসটি লেখা ‘কেকেআর অ্যাডমিন আইপিএল নিলামের জন্য তৈরি’! আর সে পোস্টে ‘অ্যাডমিন’ হিসেবে কোট-টাই পড়া এমন একজনের ছবি পোস্ট করা হয়েছে, দেখে মনে হয় ৪-৫ বছর বয়সী কোনো বাচ্চা! কে এই ছোট্ট বাচ্চা? কেন-ই বা তার ছবি পোস্ট করলাে কেকেআর? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই নেটিজেন ঘেটে দেখা গেল; সে যেনতেন কেউ নয় – নেটিজেনে তুমুল জনপ্রিয় ‘হাসবুল্লাহ’!

কে এই হাসবুল্লাহ? দেখতে ৪-৫ বছরের মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে ১৮ বছর বয়স রাশিয়ার হাসবুল্লাহ ম্যাগোমেদব। অনেকটা মজা করেই টিকটকে নিজের একটি মজার ভিডিও প্রকাশের পরই ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে উঠেন তিনি।

গ্রোথ হারমনি ডিফিসিয়েন্সি নামের এক রোগে আক্রান্ত হাসবুল্লাহ’র বয়স ১৮ হলে আকারে ছোট হওয়ায় তার মজার ভিডিওগুলো বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে। মাত্র ৩ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতার হাসবুল্লাহ মিক্সড মার্শাল আর্টস ফাইটস বা এমএমএ ফাইটসের বিষয়গুলো নিয়ে বানানো ভিডিওগুলোর মাধ্যমেই ইন্টারনেট সেনসেশনে হয়ে উঠেন।

Techshohor Youtube

রাশিয়ান সাবেক এমএমএ ফাইটার খাবিব নুরমাগোমেদব’কে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে এমএমএ ফাইটস ভিত্তিক নানা ধরনের মজার সব ভিডিও পোস্ট করতে থাকেন হাসবুল্লাহ। এ জন্য তার নাম হয়ে উঠে ‘মিনি কাবাব’। তার এ ধরনের অনেক ভিডিও দেখে অনেকেই শুরুতে ভেবেছিলেন হাসবুল্লাহ খাবিবেরই সন্তান। তবে সম্প্রতি হাসবুল্লাহ খাবিবের সঙ্গে দেখা করেন এবং সেটিও খাবিব নিজের ইন্সটাগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশ করে বিষয়টি উল্লেখ করেন।

হাসবুল্লাহ’র মজার সব ভিডিও এখন শুধু টিকটকেই নয়, ইউটিউবেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ২০২১ সালের মে মাসে করোনাকালীন সময়ে নিজের ভিডিওগুলোর মাধ্যমে ইন্টারনেটে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠে হাসবুল্লাহ। ইতিমধ্যে তার টিকটকের ভিডিওগুলো ১০১ মিলিয়নের বেশিবার দেখা হয়েছে। #Hasbulla ট্যাগের মাধ্যমেই ভিডিওগুলো ট্রেন্ডিং হচ্ছে। টিকটক ছাড়াও টুইটার, ফেসবুক, ইউটিউবে হাসবুল্লাহ নানা ধরনের মজার সব ভিডিও দেখা যাচ্ছে এবং ইন্টারনেটে সোশ্যাল মিডিয়াপ্রেমীরা সেসব ভিডিও ছড়িয়ে দিচ্ছেন একে অপরের কাছে। হাসবুল্লাহ’র সব ভিডিও আর নানা তথ্যাদি নিয়ে রয়েছে ফ্যানগ্রুপ যেখানে রয়েছে প্রায় এক লাখ ৪৫ হাজার সদস্য।

তথ্যসূত্র: স্পোর্টসকিডা, টেকিগেমারস, কেকেআর, ডিফেক্টর/এনসি

*

*

আরও পড়ুন