![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: পরপর দুজন সেলিব্রেটির আত্মহত্যার পর সাইবার-বুলিংয়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সাধারন মানুষ। অনলাইনে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য ছড়ায় এমন ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহনের আহ্বান জানিয়ে দেশটির দেড় লাখের বেশি নাগরিক একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার ভলিবল খেলোয়ার কিম ইন-হায়ক এবং জনপ্রিয় ইউটিউবার চু জ্যাং-মি সম্প্রতি মৃত্যুবরন করেন। ধারণা করা হচ্ছে অনলাইনে তীর্যক মন্তব্য সহ্য করতে না পেরে তারা আত্মহত্যা করেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় জনপ্রিয় ব্যক্তিদের সাইবার-বুলিংয়ের শিকার হওয়া নতুন কিসু নয়, বর্তমানে এটি অনেক বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। সাইবার-বুলিংয়ের কারণে ইতোমধ্যে দেশটির অনেক সেলিব্রেটিই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যম ইয়নহাপের প্রতিবেদন অনুযায়ি, গত পাঁচ ফেব্রুয়ারি জনপ্রিয় ইউটিউবার চু জাং-মি-কে তার বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার মৃত্যুর পরই পিটিশনটি দায়ের করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চু-এর পরিবারের একজন সদস্য বলেছেন, অনলাইনে বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
অনলাইনে বিজে জাম্মি হিসেবে পরিচিত চু এর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে পুরুষদের ঘৃনা করা বোঝায় এমন অঙ্গভঙ্গি করে ভিডিও প্রচারের অভিযোগ আনা হয়। অনলাইনে তার মন্তব্যগুলো পর্যবেক্ষণ করতে তার মা মিসেস চো। সেসময় তিনি বলেছিলেন, মেয়েকে ‘পুরুষ বিদ্বেষী’ বলে অভিযোগ তুলে যেসব বুলিং করা হচ্ছে তা বন্ধ করা উচিত। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে চো আত্মহত্যা করেন।
চু-জাংয়ের মৃত্যুর পর তার বিরুদ্ধে যারা গুজব ছড়িয়েছে তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রায় দেড় লাখ মানুষ এক পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন। চু এর মৃত্যুর একদিন আগেই ২৮ বছর বয়সী ভলিবল খেলোয়ার দায়েজিয়ন স্যামসাং ফায়ার ব্লুফাংসকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। মৃুত্যর আগে তিনি নিজের যৌনজীবন ও অনলাইনে উপস্থিতি নিয়ে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য ও গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ করেছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, ‘আমার সম্পর্কে যাদের সত্যিকার অর্থেই কোন ধারণা নেই এমন ব্যাক্তিরাই যখন আমি খেলি তখন অগনিত সরাসরি ম্যাসেজ পাঠান ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেন। সত্যিকার অর্থেই এসব সহ্য করা কঠিন। দয়া করে থামুন।’
তার মৃত্যুর পর সাইবার বুলিং নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন অভিনেতা হং সিউক-চেয়ন। ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেন, ‘আপনাদের আঙ্গুল থেকে তৈরি হওয়া ব্লেডের আঘাতে কতোজন মারা গিয়েছেন তা আমি মনে রাখবো। আমি আবারো বলব, আপনারা বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্যকারীরা খুনী।’
বিবিসি/আরএপি
আরও পড়ুন
আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী সোশ্যাল গ্রুপের সন্ধান পেলো পুলিশ
আত্মহত্যা প্রতিরোধে কি করছে সামাজিক মাধ্যম?