![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : গ্রাহক কমছে গ্রামীণফোনের। এরমধ্যে একমাসেই কমেছে ৫ লাখ ৮০ হাজার গ্রাহক।
বিটিআরসির সর্বশেষ হিসাবে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা ৮ কোটি ৩৪ লাখ ৬০ হাজার।
ঠিক আগের মাস নভেম্বরে এই গ্রাহক সংখ্যা ছিলো ৮ কোটি ৪০ লাখ ৪০ হাজার। দেখা যাচ্ছে, ডিসেম্বর মাসে অপারেটরটি গ্রাহক হারিয়েছে ৫ লাখ ৮০ হাজার।
এর আগে সালটির অক্টোবরে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা ছিলো ৮ কোটি ৪১ লাখ ২০ হাজার । যেখানে নভেম্বরেও গ্রাহক কমেছে ৮০ হাজার।
বিটিআরসির হিসাবে এসব গ্রাহকরা সক্রিয় ব্যবহারকারী। এসব গ্রাহকের মধ্যে অনেকেই একাধিক সিম ব্যবহার করছেন, হিসাবে যেখানে প্রতিটি সিমের সংযোগ একেকটি গ্রাহক হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।
গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন্স মুহাম্মদ হাসান টেকশহরডটকমকে বলছেন, প্রতি বছরের শেষ দিকে গ্রাহক বৃদ্ধির হার সাধারণত কমতির দিকে দেখা যায়।
তিনি বলছেন, গ্রাহকদের ভালো সেবা নিশ্চিত করতে তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের ৫০ বর্ষপূর্তি উদযাপনকালে গ্রামীণফোনের সব টাওয়ার ফোরজিতে আপগ্রেড করা হয়েছে।
‘গ্রামীণফোন তাদের নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নে ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগ করে যাচ্ছে। তারা নতুন টাওয়ার বসাচ্ছেন, আরও বেশি স্পেক্ট্রাম ১০ হাজারেরও বেশি টাওয়ারে কাজে লাগিয়েছেন। এতে তাদের সেবার মান উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে’ বলছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন, নতুন নতুন উদ্ভাবন এবং সেবার বৈচিত্রের কারণে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করেছেন গ্রামীণফোন। যার প্রমাণ ২০২১ সালে তাদের গ্রাহক বৃদ্ধি।
নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক গ্রামীণফোনের একাধিক কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের সিম নিয়ে সংকটের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। যে পরিমাণ সিম তাদের দরকার সে পরিমাণ সিম তার কাঙ্খিত সময়ের মধ্যে পান না।
যদিও বিটিআরসি বলছে, রিসাইক্লিলিং সিমের ক্ষেত্রে অপারেটরগুলোর আবেদনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দ্রুতই সাড়া দেয়া হয়। সম্প্রতি দুই দফায় গ্রামীণফোন অব্যবহৃত থাকা বিপুল পরিমাণ সিম রিসাইক্লিলিং সিম হিসেবে বিটিআরসির অনুমোদন পেয়েছে।
গ্রামীণফোন তাদের ০১৭ নম্বর সিরিজের পর ২০১৮ সালের নভেম্বরে ০১৩ সিরিজের দুটি সিরিয়ালে ২ কোটি নতুন নম্বর পায়। ০১৩০ এবং ০১৩১ নম্বর সিরিয়ালের প্রতিটিতে এক কোটি করে এই দুই কোটি সিম মিলেছিল বরাদ্দে।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই সিম নিয়ে চরম সংকটের কথা জানান অপারেটরটির সিইও ইয়াসির আজমান। তখন তিনি বলেছিলেন, নতুন করে বরাদ্দ না পেলে কয়েকদিনের মধ্যে অপারেটরটি আর সিম দিতে পারবে না। ফলে বাজারে গ্রামীণফোনের সিম নিয়ে পেঁয়াজের মতো সংকট তৈরি হতে পারে বলে তিনি আশংকা করেছিলেন।
তখন অবশ্য অডিট আপত্তির পাওনা দাবি নিয়ে বিরোধে এনওসি বন্ধ থাকার কারণে পুরোনো বা রিসাইক্লিলিং সিমও বিক্রি করতে পারছিলো না অপারেটরটি।
কিন্তু পরবর্তিতে বিষয়টির সুরাহা হয়। এরপর চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ আবেদনের প্রেক্ষিতে সিম পেয়ে আসছিলো অপারেটরটি।
টানা ১৫ মাস অব্যবহৃত থাকা সিম রিসাইক্লিলিং সিম হিসেবে বিটিআরসির অনুমোদন সাপেক্ষে পুনরায় বিক্রি করতে পারে অপারেটরগুলো।
আরও পড়ুন
একটি বিভাগজুড়ে শুধু নামেই গ্রামীণফোনের থ্রিজি-ফোরজি