![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ই-কমার্স, এফ-কমার্সসহ ডিজিটাল কমার্স খাতে সব ব্যবসায়ীকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে চালু হলো ডিজিটাল বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন (ডিবিআইডি)।
মূলত ডিজিটাল কমার্স খাতে স্থিতিশীলতা আনতেই এই আইডি চালু হলো।
এখন থেকে ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেইজ , অ্যাপসসহ সব ধরনের অনলাইন বা ই-কমার্স ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে এতে নিবন্ধন নিতে হবে।
রোববার ঢাকায় সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ডিজিটাল কমার্স ব্যবসার সার্বিক পর্যালোচনার জন্য আয়োজিত জরুরি আন্ত:মন্ত্রণালয় সভা শেষে এই ডিবিআইডি’র উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ খাতটির নীতিনির্ধারক প্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে সবাইকে একটা প্লাটফর্মে নিয়ে আসা হবে। এটি চালুর অর্থ হলো-একটা সুন্দর ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে আগামীতে ডিজিটাল ব্যবসা পরিচালিত হবে। ডিবিআইডি দেওয়া মানে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে একটা ডকুমেন্ট দেওয়া। এটা দেখিয়ে কর সনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ও ব্যাংক ঋণ কিভাবে পেতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা হবে।
সালমান এফ রহমান বলেন, ছোট ও নারী উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করবে এই প্লাটফর্ম। এ ধরনের উদ্যোক্তারা যাতে টিআইএন, ট্রেড লাইসেন্স, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, ব্যাংক ঋণ পেতে সমস্যায় না পড়েন সেজন্য একটা আন্ত:মন্ত্রণারয় সভা করা হবে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে, ডিবিআইডি চালুর ফলে সেই সংকট দূর হবে। এই পদ্ধতি অনলাইন ব্যবসাকে শক্তিশালী ও বিশ্বাসযোগ্য ভিত্তি দেবে।
পলক বলেন, ডিজিটাল ব্যবসায় অনিয়ম দূর করতে সরকারের চারটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ চলমান রয়েছে। ডিবিআইডি তার একটি কার্যকর প্রথম পদক্ষেপ। এরপর এ খাতের অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য সেন্ট্রাল কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করা হবে। ই-কমার্স খাতে কী পরিমাণ লেনদেন হয়, কী পরিমাণ পণ্য কেনাবেচা করে, তা পর্যবেক্ষণের জন্য সেন্ট্রাল লিকুইডিটি ট্র্যাকিং প্রোগ্রাম সিএলটিপি চালুর উদ্যোগও রয়েছে।
এছাড়া একটি ইন্টার অপারেটর ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরি করা হবে, যা একটি পণ্য কোথায় যাচ্ছে তা ট্র্যাকিং করবে’ উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ১১টি প্রতিষ্ঠানকে প্রথম এই পদ্ধতির নিবন্ধন এবং সনদ দেওয়া হয়। চালডাল ডটকমের সিইও জিয়া আশরাফ, ডায়বেটিস স্টোরের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, রকমারি ডটকমের সিইও মাহমুদুল হাসান সোহাগ, আজকের ডিলের সিইও ফাহিম মাসরুর, সাজগোজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল শেখ, যাচাই ডটকমের সিইও আব্দুল আজীজ, তৃণাস ক্লোসেটের প্রোপাইটর ফারহা মাহমুদ তৃণা, নওরীনস মিররের প্রতিষ্ঠাতা হোসনে আরা খান নওরীন, ফেইসবুক শপ আখিস কালেকশানের প্রোপাইটর সালমা রহমান আঁখি, ফেইসবুক শপ নিথানের প্রোপাইটর ফারহা দিবা, ফেইসবুক শপ মম ফানুসের প্রোপাইটর মুসরেফা জাহান এই নিবন্ধন সনদ নেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে ডাক বিভাগের মহাপরিচালক সিরাজ উদ্দিন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের প্রধান এ এইচএম সফিকুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, ই–কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি শমী কায়সার উপস্থিত ছিলেন।