![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: ডিপমাইন্ডের এআই সিস্টেম ‘আলফাকোড’ প্রতিযোগিতামূলক কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের সেরা মানব প্রতিযোগিদের প্রায় সমকক্ষ হয়ে উঠেছে। বিষয়টিকে তাদের বড় অর্জন হিসেবে দেখছে গুগলের মালিকানাধিন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই প্রতিষ্ঠান।
ডিপমাইন্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মানব কোডারদের সঙ্গে সমানতালে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বেশ ভালো পারফর্মেন্স দেখিয়েছে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সিস্টেম। জানা গিয়েছে, পাঁচ হাজারের বেশি প্রতিযোগির সঙ্গে ১০টিরও বেশি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে এই আলফাকোড শীর্ষ ৫৪ শতাংশ প্রতিযোগির কাতারে জায়গা করে নিয়েছে।
ডিপমাইন্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সেরা পারফর্মেন্সকারী মানব প্রতিযোগিদের পর্যায়ে পৌঁছুতে তাদেরকে আরো কাজ করতে হবে। এছাড়া আলফাকোডের সব সক্ষমতাই শিগগিরই কোডিংয়ের অন্যান্য ফর্মে প্রয়োগ করা যাবে না।
প্রশিক্ষণের সময় প্রতিযোগিতার সমস্যাগুলো এআইয়ের মাধ্যমে দেখা হয় না। ফলে এসব সমস্যার সমাধানের জন্য জটিল চিন্তা, যুক্তি,গানিতিক পরিভাষা এবং ভাষা বোঝার মতো দক্ষতাগুলোর সমন্বয় প্রয়োজন। আর সাধারন সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধতার মধ্যে রাস্তা এবং ভবন স্থাপন অথবা বোর্ড গেমে জেতার জন্য কৌশল তৈরি করা।
ডিপমাইন্ডের প্রধান গবেষণা বিজ্ঞানী অরিয়লর ভিনালস বলেন, আমি সারাজীবন বিভিন্ন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় মুগ্ধ হয়েছি। ফলে আলফাকোড প্রস্তুতকারী দলের একটি অংশ হতে পেরে আমার ‘স্বপ্ন পূরণ’ হয়েছে।
কম্পিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার প্লাটফর্ম কোডফোর্সের প্রতিষ্ঠাতা মাইক মির্জায়ানভ আলফাকোডকে ‘প্রতিশ্রুতিশীল নতুন প্রতিযোগি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আমি নিঃশঙ্কোচে বলতে পারি আলফাকোড আমার প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে।
গুগলের সফটওয়্যার প্রকৌলী এবং কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামার পিটর মিত্রিশেভ বলেছেন, কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিংয়ের সমস্যাগুলো সমস্যা সমাধান করা সত্যিকার অর্থেই কঠিন। এজন্য ভালো কোডিং দক্ষতা এবং সমস্যা সমাধানে সৃজনশীলতা প্রয়োজন।
বিবিসি/আরএপি