নেটফ্লিক্সের সামনে দুঃসময়!

টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : অনলাইন স্ট্রিমিং কোম্পানি নেটফ্লিক্সের সাবসক্রাইবারের সংখ্যা গত বছর বেড়ে ২২ কোটি ২০ লাখে পৌঁছেছে। সেসময় করোনা মহামারীর প্রকোপ কিছুটা কমে আসার ফলে গ্রাহক আগ্রহ বৃদ্ধির পাশাপাশি সংখ্যাও বেড়েছিলো। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বজুড়ে নতুন করে করোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানিটির সামনে বন্ধুর পথ অপেক্ষা করছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

সবমিলিয়ে নেটফ্লিক্সে গত বছর এক কোটি ৮২ লাখ সদস্য যোগ দিয়েছে; যা ২০২০ সালের তুলনায় অর্ধেক। প্রতিষ্ঠানটি নেতিবাচক পূর্বাভাস দেয়ার কয়েকঘন্টা পরই এর শেয়ারদর ২০ শতাংশ কমে যায়। প্রতিষ্ঠানটি ধারণা করছে বছরের প্রথম প্রান্তিকে মাত্র ২৫ লাখ নতুন সাবসক্রাইবার পাবে তারা; যা বিশ্লেষকদের ধারণার চেয়েও অনেক কম।

নেটফ্লিক্সের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘গ্রাহক ধরে রাখা ও যোগ দেয়ার হার যথেষ্ট থাকলেও অধিগ্রহন প্রবৃদ্ধি এখনো কোভিড-পূর্ববর্তী পর্যায়েই রয়েছে। এর কারন হিসেবে লাতিন আমেরিকার মতো বিশ্বের বিভিন্ন অংশে ‘কোভিড বৃদ্ধি পাওয়া এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক সংকটের’ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

Techshohor Youtube

গত বছরের শেষের তিনমাসে ৮৩ লাখ সাবস্ক্রাইবার নেটফ্লিক্সে যোগ দিয়েছে। গতানুগতিক টেলিভিশন মাধ্যম থেকে আরো অনেকে স্ট্রিমিং চ্যানেলমুখি হয়ে উঠার কারণে এই সংখ্যা আরো বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে নেটফ্লিক্স। অবশ্য ডিজনি,অ্যাপল, আমাজন এবং এইচবিওর থেকে নতুন প্রতিযোগিতার বিষয়টিও স্বীকার করেছে তারা।

এ প্রসঙ্গে নেটফ্লিক্স বলেছে, ‘নিজেদের বিনোদনের সময় কাটানোর জন্য গ্রাহকদের হাতে সবসময়ই একাধিক সুযোগ থাকে। বিনোদন সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো আরো আকর্ষণীয় স্ট্রিমিং অফার দেয়ার কারণে গত ২৪ মাসে প্রতিযোগিতা আরো বেড়েছে।’ আর এ কারনেই দর্শক আগ্রহ ধরে রাখতে কনটেন্টে হাজার হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে নেটফ্লিক্স। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় নিজেদের কনটেন্টের মূল্য বাড়ানো সত্ত্বেও খরচ বৃদ্ধিসহ আরো কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। শুধুমাত্র ডলার শক্তিশালী হয়ে উঠার কারণেই কোম্পানিটির ব্যয় ১০০ কোটি ডলার বেড়েছে। 

বিবিসি/আরএপি

*

*

আরও পড়ুন