![]() |
টেকশহর কনন্টেন্ট কাউন্সিলর: নামিবিয়ার অর্থনীতি একসময় হীরা ও মাছ চাষ থেকে বিপুল উপকৃত হয়েছে। কিন্তু আফ্রিকার দেশটি এখন উচ্চহারে বেকারত্ব এবং পুরনো অবকাঠামোর চাপে ধুঁকছে। এমন অবস্থায় ঘুরে দাঁড়ানোর নতুন স্বপ্ন বাস্তবায়নে পরিবেশবান্ধব হাইড্রোজেন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চাইছে দেশটি। দেশটির দক্ষিনাঞ্চলীয় শহর লুদেরিদজে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে আশা করা হচ্ছে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠবে।
লুদেরিদজের টাউন কাউন্সিলরের সদস্য ফিলিপ বালহুয়া বলেছেন, প্রস্তাবিত পরিবেশবান্ধব হাইড্রোজেন প্রকল্পটি ‘লুদেরিদজের জন্য তৃতীয় বিপ্লব হবে।’ আমি আশা করছি প্রকল্পটি স্থানীয়দের প্রশিক্ষণ দিবে এবং কাজে নিয়োগ দিবে। যার সুবাদে বেকারত্ব ৫৫ শতাংশ কমে আসবে। তিনি আরো বলেছেন, ‘১০ থেকে ১৫ অথবা এরও বেশি সময় ধরে শহরটি অর্থনৈতিকভাবে সংগ্রাম করছে। এ অবস্থায় প্রকল্পটি নিয়ে স্থানীয়রা ব্যাপক উচ্ছসিত।’
হাইফেন হাইড্রোজেন এনার্জী নামের প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটির দরদাতা। খায়েব ন্যাশনাল পার্কের কাছে প্রকল্পটি নির্মাণ করা হচেছ। প্রতিবছর প্রকল্পটি থেকে তিন লাখ টন গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদন হবে। ২০২৬ সাল থেকে এখানে উৎপাদন শুরু হবে। কোম্পানিটি আশা করছে প্রকল্পটি নির্মাণের জন্য চারবছর সময় লাগবে ,এতে ১৫ হাজার মানুষের সরাসরি কর্মসংস্থান হবে এবং প্রকল্পটি পুরোপুরি চালু হলে আরো তিন হাজার নিয়োগ দেয়া হবে। এসব নিয়োগের ৯০ শতাংশই স্থানীয়ভাবে সম্পন্ন হবে। নামিবিয়াকে রূপান্তওে প্রেসিডেন্টের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্টের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ও হাইড্রোজেন কমিশনার জেমস মানিয়ুপ এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘খুব বিচক্ষণভাবে প্রেসিডেন্ট অর্থনৈতিক পরিকল্পনা করেছেন; যা প্রতিক্রিয়াশীল,বৈশ্বিকভাবে প্রাসঙ্গিক এবং পদ্ধতিগতভাবে প্রাকৃতিক।’ প্রকল্পের স্থান হিসেবে লুদেরিদজ কেন আদর্শ এর ব্যাখ্যা করে বলেন তিনি এখানে প্রচুর সৌর ও বায়ু সম্পদ রয়েছে এবং সমুদ্রও এর খুব নিকটে; যা পানির উৎস ও বন্দর হিসেবে কাজ করবে।
আশা করা হচ্ছে প্রকল্পটির মাধ্যমে উৎপাদিত নবায়নযোগ্য জ্বালানী রফতানির পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আমদানিকৃত কয়লার বিপরীত হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। প্রাথমিকভাবে প্রকল্পটির জন্য ৯ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। প্রকল্পের কিছু অর্থ বেশকিছু চুক্তি থেকে আসবে। এছাড়াও প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য গ্রিন অথবা সাসটেইনএবল বন্ডের বিষয়টিও ভাবছে নামিবিয়া।
নামিবিয়া শুধুমাত্র গ্রিন হাইড্রোজেনের কেন্দ্রস্থল নয় নবায়নযোগ্য জ্বালানী শিল্পের পাওয়ারহাউজ হয়ে উঠতে চাইছে। যার অংশ হিসেবে চলতি মাসে আরো একটি হাইড্রোজেন প্রকল্পের ঘোষণা দিতে পারে দেশটির সরকার।
সূত্র:বিবিসি/আরএপি