![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পথে নেতৃত্ব দিতে সবাইকে এক সাথে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ।
‘উদ্ভাবনের পথে একযোগে কাজ করতে হবে। তাহলেই আমরা এগিয়ে যাব। বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কার, বিদ্যুতের ব্যবহার এবং ট্রানজিস্টার আবিষ্কার ব্যাপক শিল্পায়ন সৃষ্টির মাধ্যমে মানবসভ্যতার গতিপথ বদলে দিয়েছিল বলে ওই তিন ঘটনাকে তিনটি শিল্পবিপ্লব হিসেবে চিহ্নিত করা হয়’ বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজির সম্মেলনে ‘মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে’ মূল বক্তব্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া এবং ভবিষ্যত সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন জয়।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে সরাসরি প্যানেলে অংশগ্রহণ করে বক্তব্য রাখেন সোমালিয়ার যোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রী আদ্রিস শেখ আহমেদ এবং মালদ্বীপের জলবায়ু ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রী মোহাম্মাদ শরীফ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এটুআইয়ের পলিসি এডভাইজার আনীর চৌধুরী। এছাড়াও ভার্চুয়ালি প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ঘানার স্বাস্থ্য মন্ত্রী ফ্রাঙ্ক সি এস অ্যন্থনি, ফিলিপিনের স্থানীয় সরকার মন্ত্রী নাগিব সিনারিম্বো এবং উইটসা মহাসচিব জেমস পয়স্যান্ট।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির নিত্যনতুন উদ্ভাবনের পথ ধরে আসছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, যেখানে বহু প্রযুক্তির এক ফিউশনে ভৌতজগৎ, ডিজিটালজগৎ আর জীবজগত পরস্পরের মধ্যে লীন হয়ে যাচ্ছে ।
জয় বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিতে চায় এবং সে অনুযায়ী বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে ।
‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সেই সক্ষমতা আছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ব্লক চেইন, আইওটি, ন্যানো টেকনোলজি, বায়োটেকনোলজি, রোবটিকস, মাইক্রোপ্রসেসর ডিজাইনের মত ক্ষেত্রগুলোতে জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ।’ বলছিলেন তিনি।
বিদেশী বিনিয়োগকারীদের প্রতি বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগের আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা বলেন, ‘বিশ্বমানের সুযোগসুবিধা নিয়ে দেশে ৩৯টি হাই টেক পার্ক করা হয়েছে। এসব পার্কে বিনিয়োগে কর অব্যাহতি, বিদেশিদের জন্য শতভাগ মালিকানার নিশ্চয়তা, আয়কর অব্যাহতিসহ নানা সুযোগ রাখা হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য অনেক ধরণের সুবিধা দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা ফ্যাক্টরি বা তথ্য প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগে তৈরি অবকাঠামো সুবিধা নিতে চান তারা এখানে বিনিয়োগ করতে পারেন।’
এখানে স্টার্টআপদের জন্য বিশাল সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে জয় বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম কনজুমার মার্কেট। এখানে বিশাল মধ্যবিত্ত শ্রেণি রয়েছে।
আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে মেইড ইন চায়না বা ভিয়েতনামের মত বাংলাদেশের তৈরি মোবাইল হ্যান্ডসেট, হার্ডড্রাইভে ‘মেইন ইন বাংলাদেশ’ দেখা যাবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। দেশের আইটি রপ্তানি এক সময় পোশাক খাতকে ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি মনে করেন।
‘এনশিওরিং এন ইনক্লুসিভ, ট্রাস্টেড অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডিজিটাল সোসাইটি’ শীর্ষক এই মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে শুরুতেই দেশের তথ্যপ্রযুক্তির অন্তর্ভূক্তিমূলক টেকসই ব্যবহারের চিত্র তুলে ধরেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
এতে পলক উল্লেখ করেন, তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরের প্রসারে জন্য আইটি সংযুক্ত পোর্টালগুলি নাগরিকদের সহজে সংযুক্ত হতে সাহায্য করছে। আশা করা যায় ২০২৫ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৫ বিলিয়নে পৌঁছাবে।