![]() |
শেষ হল বাংলাদেশ ‘আইসিটি স্কিল কম্পিটিশন ২০২১’। দশ মাস এর যাত্রা শেষে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বুয়েট।
দলে ছিলেন সোহান সালাউদ্দিন মুগ্ধ, রাবিব ইবরাত এবং মো. তাহমিদুর রাফিদ, প্রথম রানার আপ দল কুয়েট এর মো. কাফ শাহরিয়ার, হাসান মেসবাহ আলী তাহের, সোহান রশীদ এবং দ্বিতীয় রানার আপ হয় আরিফ আহমেদ নওফেল, মো. তাকিউল হাসান সাকিব এবং সেলিম রেজার সমন্বয়ে গঠিত এনএসইউ দল। পুরস্কারের পাশাপাশি তিন বিজয়ী দল অংশ নেবে ২০২২ সালে মালয়েশিয়া হুয়াওয়ে আইসিটি প্রতিযোগিতায়।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের যৌথ আয়োজনে সমাপনি পর্বে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে পুরস্কার বিতরন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য তরুণদের তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষতা উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। সরকার নানা উদ্যোগের মাধ্যমে যুগের চাহিদা অনুযায়ী তরুণদের দক্ষ করে তোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।“
বাংলাদেশে ইউনেস্কোর আবাসিক প্রতিনিধি বিয়েট্রিস কালদুন, হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও ঝ্যাং ঝেংজুন এর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক আরও বলেন, “বাংলাদেশের আইসিটি রপ্তানী এক দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার ছুঁয়েছে। ২০২৫ সালে এই রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার পথে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ২ মিলিয়ন মানুষ এখন তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর কাজের সাথে সরাসরি জড়িত আছে, যা ২০২৫ সালে ৩ মিলিয়নে পৌঁছাবে।“ এসময় তিনি বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরে হুয়াওয়ের অংশীদার হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে ইউনেস্কোর আবাসিক প্রতিনিধি বিয়েট্রিস কালদুন বলেন, প্রবৃদ্ধির চালিকা শক্তি এখন তথ্যপ্রযুক্তি, প্রবৃদ্ধির কেন্দ্রবিন্দুতে তরুণদের অবস্থান। তাদের উদ্ভাবনী মেধা ও সৃষ্টিশীলতা কাজে লাগিয়েই টেকসই প্রবৃদ্ধিকে অর্জন করতে হবে। হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও ঝ্যাং ঝেংজুন তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের আইসিটি অগ্রযাত্রায় তরুণদের পাশে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, “মেধাবিদের উন্নয়নে আগামিতেও এই আয়োজনের পাশে থাকবে হুয়াওয়ে।“
দেশের সকল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৯০০ জন শিক্ষার্থীদের নিয়ে শুরু হয়েছিলো বাংলাদেশ আইসিটি স্কিলস কম্পিটিশন ২০২১।
সূত্র : পিআর/আরআই/নভেম্বর ৩/২০২১/১৬৩৮