![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট (বিগ) ২০২১-এর সেরার পুরস্কার গেল ‘ওপেনরিফ্যাক্টরি’-র ঘরে। তারা অনুদান হিসেবে পেয়েছে ১ লক্ষ ইউএস ডলার।
তরুণ উদ্যোক্তা অর্থাৎ স্টার্টআপদের অনুপ্রাণিত করতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনে ‘উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমী প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প (iDEA)’ এই ইভেন্টের আয়োজন করে। আন্তর্জাতিক এই আয়োজনে ১৪২টি দেশে প্রচারণা শেষে বাংলাদেশসহ ৫৭ দেশ থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে ৭ হাজারের বেশি প্রকল্প এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত হয়।
‘ওপেনরিফ্যাক্টরি’-র পাশাপাশি দেশিয় স্টার্টআপদের নিয়ে অনুষ্ঠিত রিয়েলিটি শো থেকে নির্বাচিত ২৬ টি এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সেরা ১০ টি স্টার্টআপ অর্থাৎ দেশি-বিদেশি নির্বাচিত মোট ৩৬ টি স্টার্টআপের প্রত্যেকেই পাচ্ছে ১০ লক্ষ টাকা করে মোট ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার অনুদান।বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষে এই বিশেষ আয়োজনের গ্র্যান্ড ফিনালে রাজধানী ঢাকার আগারগাঁও এ অবস্থিত বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মাল্টিপারপাস অডিটরিয়ামে শনিবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর নির্বাহী পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব ড. মোঃ আব্দুল মান্নান, পিএএ ।
অনলাইনে যুক্ত হয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, তরুণ উদ্ভাবকদের সহায়তায় চলতি বাজেটে সরকার ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে। আজকের তরুণ উদ্ভাবকরাই দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, সমস্যাকে সম্ভবনা হিসেবে রূাপান্তরিত করেই আমরা সঠিক দিক নির্দেশনায় এগিয়ে যাবো।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম এর যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সাল থেকে। বর্তমানে বাংলাদেশে ২৫০০ টির বেশি স্টার্টআপ কাজ করছে এবং আমাদের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে। দেশে বর্তমানে ৪০ টিরও বেশি এক্সেলেরেটর এবং ইনকিউবেটর প্রোগ্রাম তাদের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান দেশে প্রচুর বিনিয়োগ নিয়ে এসেছে যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।”
তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, ইনোভেশন ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার মাধ্যমে উদ্ভাবনী জাতি গঠন করার লক্ষ্যে অল্পদিনের মধ্যেই একটি স্টার্টআপ পলিসি প্রণয়ন করা হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আইসিটি খাতের বিভিন্ন নীতি- সহায়তার ফলে বর্তমানে আইসিটি খাতের রপ্তানি আয় ১বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে এ খাতে রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা এবং ৩০ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আমরা কাজ করছি। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অন্তর্ভূক্তমূলক উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ৩২ অবস্থানে। এভাবেই ৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। এজন্য উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শ অনুযায়ী নিজস্ব প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে এই লক্ষ্য অর্জিত হবে। ইতোমধ্যেই দেশে ২৫০০ উদ্ভাবক তৈরি হয়েছে। তাদের ক্ষমতায়নের জন্য আইসিটি বিভাগ থেকে সার্বিক সহায়তা করা হবে।
সবশেষে, প্রতি বছরই “বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট (বিগ) ২০২১” প্রতিযোগিতা হবে বলে ঘোষণা দেন পলক।
রিয়েলিটি শো-র সেরা ২৬ স্টার্টআপ
ওপেনরিফ্যাক্টরি, টিঙ্কার’স টেকনোলজিস লিমিটেড, বন্টন কানেক্ট লিমিটেড, র্যাডএসিস্ট, বইঘর ট্রেডিং কেয়ার, অলওয়েল বিডি লিমিটেড, ল্যান্ডনক লিমিটেড, ইনোভেইস টেকনোলজিস, লাইফস্প্রিং কন্সালটেন্সি লিমিটেড, আইডিয়া থ্রী ডি সলিউশনস, ক্যাপ্টেন আর্থ- বি দ্যা চেইঞ্জ, আপস্কিল, সাইকিওর অর্গানাইজেশন, প্লাস্টাইল, ব্রেইলি টেক লিমিটেড, ইনক্লুশন এক্স, স্মার্ট হোয়াইট কেইন, ডিঙ্গি টেকনোলজিস লিমিটেড, গোস্ট কিচেন বাংলাদেশ লিমিটেড, অ্যান্টস এরিয়াল সিস্টেমস লিমিটেড, আলো, সাইনটিকো লিমিটেড, খেলবেই বাংলাদেশ, জোবাইক, অনলাইন সহপাঠী, রোবোল্যাব।
আন্তর্জাতিক সেরা ১০ স্টার্টআপ
থার্মো নর্থ, মাই ক্যাশ মানি পিটিই লিমিটেড, এগ্রোভিজিও, ইঙ্ক স্পায়ার্ড, ডব্লিউটিম, সোসো কেয়ার, গ্র্যান্ট মাস্টার, বায়ো মেক, ইভরেকা, কেয়ার ফর্ম ল্যাবস প্রাইভেট লিমিটেড। আইডিয়া প্রকল্পের সেরা ১০টি স্টার্টআপগুলো হল:অল্টারইয়ুথ, অক্সিজেট, ব্লাডম্যান, ভূমিজো, জাহাজী লিমিটেড, অ্যাডভান্সড ভেইকেল সিকিউরিপিট সিস্টেমস (বাইক লক), দ্যা টু আওয়ারস্ জব, গারবেজম্যান লিমিটেড, অভিযাত্রিক, স্বাধীন মিউজিক লিমিটেড।
আরও পড়ুন
শনিবার বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট ২০২১ এর সমাপনী