![]() |
আল-আমীন দেওয়ান, টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : বিশ্বের অন্যতম স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান শাওমি বাংলাদেশে কারখানা করেছে । ইতোমধ্যে স্মার্টফোন উৎপাদনও শুরুছে তারা।
বিটিআরসি হতে ’এ’ ক্যাটাগরির লাইসেন্স পেয়েছে শাওমি। শাওমি দেশে সেমি নক ডাউন (এসকেডি) বা হ্যান্ডসেটের যন্ত্রাংশ এনে সংযোজন করে স্মার্টফোন তৈরি করবে। গাজীপুরের ভোগড়ায় শাওমির এই কারখানা।
দেশে এই প্রথম শতভাগ বিদেশী বিনিয়োগে স্মার্টফোন কারখানা হচ্ছে। বাংলাদেশে ডিবিজি টেকনোলজি লিমিটেড শাওমির এই কারখানা করেছে।
শাওমির সঙ্গে উৎপাদন চুক্তি রয়েছে ডিবিজি টেকনোলজির। ভারতের হরিয়ানায় শাওমির জন্য একটি স্মার্টফোন কারখানাও করেছে ডিবিজি। ভিয়েতনামে ও চীনেও তারা কারখানা করেছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে শাওমির এই কারখানার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করা হবে। অনুষ্ঠানে অনলাইনে ভিডিওতে যুক্ত হবেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
সরাসরি থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমানএবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
মোস্তাফা জব্বার টেকশহর ডটকমকে বলেন, প্রযুক্তি বিশ্বের চোখ এখন বাংলাদেশে। বিশ্বের খ্যাতনামা স্মার্টফোন কোম্পানিসহ প্রযুক্তিপণ্য প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে কারখানা করা ও বিনিয়োগের জন্য মুখিয়ে আছে। এটা ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্জন। মেইড ইন বাংলাদেশের পণ্য এখন আমেরিকাসহ বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।
শাওমির এই কারখানা স্থাপনের ফলে দেশের স্মার্টফোনের চাহিদা পূরণে দেশীয় উৎপাদনের অংশীদারিত্ব আরও বাড়বে বলে মনে করেন মন্ত্রী।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশে সরকার মোবাইল ফোন উৎপাদন এবং মোবাইল যন্ত্রাংশ আমদানিতে ব্যাপক শুল্ক ছাড় দেয় আবার হ্যান্ডসেট আমদানিতে শুল্ক বাড়ায়। দেশে কারখানা করলে ক্যাশ ইনসেনটিভসহ নানা প্রণোদনার ঘোষণা আসে। ফলে স্থানীয়ভাবে দেশী-বিদেশী কোম্পানিগুলোর কারখানার করার হিড়িক পড়ে যায়।
দেশি-বিদেশি অধিকাংশ খ্যাতনামা ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন কারখানা এখন বাংলাদেশে। স্যামসাং, ভিভো, অপো, রিয়েলমি, নোকিয়া, ওয়ালটন, সিম্ফনি, আইটেল-ট্র্যানসান, ফাইভস্টার, লাভা, ওকে মোবাইল, উইনস্টারসহ বিভিন্ন কোম্পানি রয়েছে এই তালিকায়।
এছাড়া মটোরোলাসহ আরও কয়েকটি ব্র্যান্ড দেশে কারখানার করার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।