![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : শেখ রাসেলকে হত্যার ঘটনা স্মরণ করে ভাই হারানোর বেদনার্ত হৃদয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেন, ‘আমার একটাই প্রশ্ন, এ শিশুটির কী অপরাধ ছিল?’
সোমবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২১’ এর উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কন্ঠে ভাইয়ের জন্য এই হাহাকার ।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই বাংলাদেশে আর কোনোদিন যাতে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্র না হয়। ঘাতকের বুলেটে আর কোনো শিশুকে যাতে এভাবে জীবন দিতে না হয় এবং দেশের অগ্রগতি যাতে থেমে না যায়, সে ব্যাপারে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহবান জানাচ্ছি।’
আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটাই আহবান জানাবো, এই শিশুদের নিরাপত্তা দেয়া, ভালবাসা দেয়া, সুন্দরভাবে গড়ে তোলা, তাঁদের জীবনকে সার্থক এবং অর্থবহ করা-এই কর্তব্য পালনই যেন সকলের আদর্শ হয়।’
শেখ রাসেলের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের আর কোনো শিশুর জীবনে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে। তাদের জীবন যাতে সুন্দর হয়। কারণ, একজন শিশুকে হত্যা করা মানেই লাখো কোটি শিশুর জীবনকে শংকায় ফেলে দেয়া।’
শেখ রাসেলের জন্ম ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর। দেশে বিদেশে এবারই প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে শেখ রাসেল দিবস ।
সোমবার ‘শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস, অদম্য আত্মবিশ্বাস’ এ প্রতিপাদ্যে দেশব্যাপী জেলা-উপজেলা এবং বিদেশের বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে যথাযথ মর্যাদায় উদযাপিত হয় দিবসটি।
অনুষ্ঠানে ‘শেখ রাসেল শৈশবে ঝড়ে যাওয়া ফুল’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ প্রকাশিত ‘শেখ রাসেল দৃপ্ত জয়োল্লাস, অদম্য আত্মবিশ্বাস’ শীর্ষক বইয়ের মোড়কও উন্মোচন করেন।
এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক । এতে উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম ।
অনুষ্ঠানে শেখ রাসেলের দুরন্ত শৈশবভিত্তিক অডিও ভিজ্যুয়াল পরিবেশনা ‘শেখ রাসেল এক অনন্ত বেদনার কাব্য’ এবং ‘থিম সঙ্গ’ পরিবেশন করে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ।
আয়োজন ছিলো বিভিন্ন খাতের স্বীকৃতি ও পুরস্কারের। শিক্ষা, ক্রীড়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিল্পকলা-সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু-এ ৫টি ক্যাটাগরিতে প্রতিটি ১ ভরি করে ১০টি ‘শেখ রাসেল স্বর্ণ পদক’, ১০টি ল্যাপটপ ও সার্টিফিকেট দেয়া হয়।
এছাড়া শেখ রাসেল অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের ১০টি ল্যাপটপ এবং লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলমেন্ট প্রকল্পের (এলইডিপি) আওতায় প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে হতে সর্বোচ্চ উপার্জনকারীদের মাঝে ৪ হাজারটি ল্যাপটপ দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের উদ্যোগে সারাদেশে আয়োজিত ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতারও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। একইসঙ্গে অনুষ্ঠানে সংযুক্ত শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং স্টেডিয়াম প্রান্তে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী রোলার স্কেটিং প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয় ।