![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ই-কমার্সকে শৃঙ্খলায় রাখতে বর্তমান আইন পর্যালোচনা করে দেখবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
খাতটিতে নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়ার আগে বর্তমান আইনই যথেষ্ট কিনা তা পর্যালোচনা করা হবে এতে।
মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ডিজিটাল কমার্স আইন প্রণয়ন ও কর্তৃপক্ষ গঠন কমিটির সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কমিটির আহ্বায়ক এএইচএম সফিকুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, সভার মূল আলোচনা ছিলো ডিজিটাল ই-কমার্স আইন হবে কিনা তা নিয়ে।
‘বর্তমান ভোক্তা অধিকার আইন, প্রতিযোগিতা কমিশন অ্যাক্ট, আইসিটি অ্যাক্ট, ব্যাংকিংয়ের জন্য ফিন্যান্সিয়াল যেসব রেগুলেশন রয়েছে, সেগুলো বিস্তারিত বিশ্লেষণ করতে একটি সাব-কমিটি করা হয়েছে। কমিটি এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। এই কমিটি নতুন আইন না বর্তমান আইন সংস্কার হবে-সেটা দেখবে’ বলছিলেন তিনি।
এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, ডিজিটাল কমার্স কর্তৃপক্ষ করতে গেলে লম্বা একটা সময়ের প্রয়োজন। অফিস, অভিজ্ঞতাসহ সার্বিক বিষয়টি দ্রুত করা সম্ভব নাও হতে পারে। যেটা ভাবা হচ্ছে যে, ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষের অধীনে ই-কমার্স নিয়ে একটি বিশেষ শাখা চালু করা যায় কিনা। পাশাপাশি কম্পিটিশন কমিশন যেটা আছে, প্রয়োজন হলে সেখানেও প্রয়োজনীয় সংস্কার আনা যায় কিনা।
২৮ সেপ্টেম্বর ই–কমার্স আইন ও কর্তৃপক্ষ গঠনে ১৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। এ এইচ এম সফিকুজ্জামানকে কমিটির আহবায়ক এবং উপসচিব (কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল) মুহাম্মদ সাঈদ আলীকে এতে সদস্যসচিব করা হয়।
কমিটির আরও সদস্যরা হলেন, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিনিধি, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের প্রতিনিধি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন করে শিক্ষক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের প্রতিনিধি, এফবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি, এটুআইর প্রতিনিধি, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক, বেসিসের সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী।
আরও পড়ুন
বিশ্বজুড়ে থমকে ছিলো ব্যাংকিং, ই-কমার্সসহ বহু ওয়েবসাইট
১১ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট অনুসন্ধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট