ইভ্যালির সিইও-চেয়ারম্যানের মুক্তির দাবিতে গ্রাহক মার্চেন্টদের বিক্ষোভ তৃতীয় দিনে

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের মুক্তির দাবিতে শনিবারও বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন গ্রাহক-মার্চেন্টরা।

ধানমণ্ডিস্থ ইভ্যালির কার্যালয়ের সামনে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে থাকেন।

এতে শতশত গ্রাহকরা এসে যোগ দিয়েছেন।

Techshohor Youtube

সেখানে তারা বিক্ষাভ প্রদর্শন করেন। তারা ইভ্যালি সিইও-চেয়ারম্যানের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন, ‘ইভ্যালি বাঁচলে ই-কমার্স বাঁচবে, ইভ্যালি সময় পেলে ঘুরে দাঁড়াবে। আমরা সময় দিতে চাই’।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে যখন ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসা হতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় তখনও সেখানে জড়ো হয়ে অনেক গ্রাহক-মার্চেন্ট এই গ্রেপ্তার চান না বলে জানান, বিক্ষোভ দেখান তারা। এরপর রাতে ধানমণ্ডিস্থ ইভ্যালির কার্যালয়ের সামনেও মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করেন তারা।

শুক্রবারও তারা দিনভর রাজধানীর শাহবাগ চত্বর, ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে, ইভ্যালির কার্যালয়ের সামনে মুক্তি দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।

বিক্ষোভ-সমাবেশ করা গ্রাহক ও মার্চেন্টরা বলছেন, ইভ্যালি হতে তারা পণ্য পেয়েছেন, ব্যবসা করে লাভবান হয়েছেন। যে অর্ডার ও পাওনা বাকি আছে তা পেতে ইভ্যালিকে সময় দিতে তারা রাজি। এতেই তারা তাদের পণ্য ও পাওনা পাবেন বলে বিশ্বাস করেন। এই গ্রেপ্তারের মাধ্যমে পণ্য ও পাওনা দেয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়েছে।

তাদের দাবি, ইভ্যালি সিইও ও চেয়ারম্যানকে সময় দেয়া হোক, নিয়ম-কানুন মেনে ব্যবসা করার সুযোগ দেয়া হোক।

বৃহস্পতিবার বিকালে তাদের গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব সদরদপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়র। সেখানে প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদ শেষে শুক্রবার তাদের গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়।পরে শুক্রবার বিকালে তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক মো. ওহিদুল ইসলাম।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আতিকুল ইসলামের আদালত তাদের তিন দিনের জন্য রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।তারও আগে বৃহস্পতিবার সকালে আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক গুলশান থানায় এই মামলা করেন। মামলার এজাহারে তিনি পণ্য অর্ডার দিয়ে তা না পাওয়ার কথা বলেন ।

*

*

আরও পড়ুন