মোবাইল অপারেটরগুলোর প্যাকেজ সংখ্যা বেঁধে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ইন্টারনেট ও ভয়েস কলের ক্ষেত্রে একেকটি অপারেটর অনেক প্যাকেজ বাজারে ছাড়ে।

আর এই প্যাকেজ নিয়ে গ্রাহকের সংশয়ের যেন শেষ নেই, ঠিকমতো না বোঝার কারণে অনেকেই পড়েন ভোগান্তিতে।

গ্রাহকের এই সংশয় ও ভোগান্তি কমাতে অপারেটেরদের প্যাকেজ সংখ্যাও নির্দিষ্ট করে দিতে চাইছে বিটিআরসি।

Techshohor Youtube

বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিস বিভাগের সংশিষ্ট এক কর্মকর্তা বলছেন, মোবাইল অপারেটরদের ইন্টারনেট ও ভয়েস কলরেটের প্যাকেজগুলো একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার মধ্যে সীমাবদ্ধ করে তা গ্রাহক উপযোগী করার কার্যক্রম চলছে।

২০১৮ সালে ডিসেম্বরের শুরুতে এক নির্দেশনায় অপারেটরের প্যাকেজ বা অফারের সংখ্যা সব মিলে ৩৫টির মধ্যে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছিলো বিটিআরসি।

কিন্তু পরে সেই নির্দেশনা স্থগিত করা হয়।

পরে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে প্যাকেজের মেয়াদ, অটো-রিনিউয়াল, পে অ্যাজ ইউ গো’র মাধ্যমে গ্রাহকের সর্বোচ্চ পাঁচ টাকার ডেটা ব্যবহারের সুযোগ রেখে নতুন নির্দশনা আসলেও প্যাকেজের সংখ্যার সীমা নির্ধারণ করে দেয়নি।

যদিও গত কয়েক বছর আগের তুলনায় এখন মোবাইল অপারেটরদের এই প্যাকেজ সংখ্যা কমে এসেছে। আগে অনেক ধরনের ইন্টারনেট ও ভয়েস কলের প্যাকেজ চালু ছিল।

গ্রাহক সুবিধার্থে বিটিআরসির নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে এটি কমাতে থাকে অপারেটরগুলো।

২০১৭ সালে গ্রামীণফোনের প্যাকেজ সংখ্যা ছিলো ৩৫টি। ২০২০ সালে এসে এটি দাঁড়িয়েছে ২৮টিতে। তিন বছর আগে রবি-এয়ারটেলের ছিলো ২৫৮টি, সেখানে ২০২০ সালে ১৫০টিতে এসেছে।

বাংলালিংকের ২০১৭ সালে ছিলো ৩৯টি, তিন বছর পরে ২০২০ সালে তা ৩১টি হয়েছে। আর একই সময়ে টেলিটকের আগে ছিলো ২৭টি, পরে কমে হয়েছে ২৬টি।

এদিকে দেশের চারটি মোবাইল ফোন অপারেটরের বিরুদ্ধে সেবার মান নিয়ে গত দুই বছরে বেশ অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা।

যেখানে সেবার নিয়ে ২৫ হাজার ৯৫টি অভিযোগ এবং বিশেষ করে কোয়ালিটি অব সার্ভিস, সিম বার, এমনএনপি, ইন্টারনেটের গতি বিষয়ে অভিযোগ ১৭ হাজার ৪৯২টি।

আরও পড়ুন

মোবাইল ইন্টারনেটে শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ, দাম বেঁধে দিতে বিটিআরসির কমিটি

মোবাইল অপারেটরদের আয় মনিটরিংয়ে প্রকল্প অনুমোদন

*

*

আরও পড়ুন