![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : তৃতীয় দফা উদ্যোগের পর অবশেষে বাংলালিংকের জন্য অডিটর নিয়োগ চূড়ান্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার মেসার্স মসিহ মুহিত হক এন্ড কোম্পানির সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি করেছে বিটিআরসি। কোম্পানিটি ৮ কোটি ৭৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় বাংলালিংকের এই অডিট করে দেবে।
চুক্তির পর ৬ মাসের মধ্যে এই অডিট কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
এই কোম্পানি ভারতীয় এক অডিট কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে রবিরও অডিট করেছিলো, এরজন্য তারা নিয়েছিলো ৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র টেকশহরডটকমকে জানান, চুক্তি হয়েছে। এখন যত দ্রুত সম্ভব বাংলালিংকের অডিটের কাজ শুরু করবে মসিহ মুহিত হক এন্ড কোম্পানি ।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিককাদের উপস্থিতিতে বিটিআরসির ফিন্যান্স এন্ড অ্যাকাউন্টিং বিভাগের পরিচালক আফতাব মো. রাশেদুল ওয়াদুদ এবং মেসার্স মসিহ মুহিত হক এন্ড কোম্পানির ম্যানেজিং পার্টনার মসিহ মালিক চৌধুরী নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এরআগে বাংলালিংকের অডিট করার তৃতীয় উদ্যোগে অডিটর নিয়োগে দরপত্র আহবান করে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তি দেয় বিটিআরসি। এতে ৯ কোম্পানির সাড়া পায় নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।
এরপর সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ, কমিশন সিদ্ধান্ত এবং নেগোশিয়েশনের ভিত্তিতে সংশোধিত আর্থিক প্রস্তাবে ৮ কোটি ৭৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় মেসার্স মসিহ মুহিত হক এন্ড কোম্পানির নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়।
এর আগে বাংলালিংকে অডিট করতে ২০১১ সালে অডিটর নিয়োগ দেওয়ার পর ওই প্রতিষ্ঠানটি কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু মাঝপথে এসে অডিটর কাজ করবে না বলে জানায়।
ওই সময় অডিটর বদলে নতুন কোম্পানিকে দায়িত্ব দিলেও তারাও এক পর্যায়ে অডিট করতে অস্বীকৃতি জানায়।
তবে অডিট প্রতিষ্ঠান আহমেদ জাকের অ্যান্ড কোম্পানি কখনোই এর সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করেনি।
পরে ২০১৭ সালে আবারও বাংলালিংকের হিসাব অডিটের উদ্যোগ নেয় বিটিআরসি। ওই বছর বেশ খানিকটা সময় নিয়ে দাফতরিক কাজকর্ম অনেকটা এগিয়ে নেওয়া হয়।
সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে আগ্রহীদের কাছ থেকে প্রস্তাবও নেওয়া হয়। অডিটর বাছাই করতে গিয়েও সময় বেশি চলে যাওয়ায় এক পর্যায়ে তা বাতিল করে দেয় কমিশন।
ইতোমধ্যে গ্রামীণফোন ও রবির অডিট সম্পন্ন করার পর গ্রামীণফোনের কাছে অডিট আপত্তির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা হতে ২ হাজার কোাটি টাকা এবং রবির অডিট আপত্তির ৮৬৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা হতে ১৩৮ কোটি টাকা আদায় করছে বিটিআরসি।