![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান, সিওও আমান উল্লাহকে ৫ দিনের রিমান্ড পেয়েছে পুলিশ।
১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের গ্রাহকদের করা প্রতারণার মামলায় এই তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশকে এই সময় দেয় আদালত।
সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম গত ১৯ আগস্ট ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন। ওইদিন বিচারক রিমান্ড শুনানির জন্য ২৩ আগস্ট দিন রেখেছিলেন।
সোমবার রিমান্ড শুনানিতে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। তাদের পক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন আবেদন করেছিলেন।
গত মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশান থানায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রাহকদের পক্ষ থেকে করা প্রতারণার মামলায় ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর বুধবার ই-অরেঞ্জের প্রধান পরিচলন কর্মকর্তা (সিওও) আমান উল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তাহেরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি, যিনি ই-অরেঞ্জের গ্রাহক হিসেবে এই প্রতারণার মামলা করেন।
মামলায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহাজাবিন, মাসুকুর রহমান, আমান উল্লাহ, বিথী আক্তার ও কাওসারকে আসামি করা হয়। এজাহারনামীয় আসামি ছাড়াও ই-অরেঞ্জের অন্য মালিকদেরও অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে আসামি করা হয়েছে এতে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, চলতি বছরের ২৮ এপ্রিলের পর থেকে বিভিন্ন সময় পণ্য ক্রয় করার জন্য ই–অরেঞ্জকে অর্থ প্রদান করেন গ্রাহকরা। নির্দিষ্ট সময়ের পরও তারা পণ্য সরবরাহ করেনি। প্রতিষ্ঠানের অফিসে গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলা হয় এগুলো কিছুদিনের মধ্যে সরবরাহ করা হবে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি পণ্য সরবরাহ না করে প্রায় এক লাখ গ্রাহকের ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাত করে
অর্ডারকৃত পণ্য কিংবা অগ্রিম অর্থ মাসের পর মাস গেলেও ফেরত না পাওয়ায় গুলশানে ই-অরেঞ্জ অফিসের সামনে গত সোমবার দিনভর বিক্ষোভ করে হাজার হাজার গ্রাহকরা। এরপর ওইদিন সন্ধ্যায় ই-অরেঞ্জের সাবেক ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর মাশরাফি বিন মর্তুজার বাসার সামনে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে এসব গ্রাহক।