![]() |
আল-আমীন দেওয়ান, টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রথম চিঠির জবাব দিয়েছে ইভ্যালি।
চিঠিতে নিজেদের সম্পদ ও দায়ের বিষয়ে জানিয়েছে কোম্পানিটি।
চিঠিতে কোম্পানিটি বলছে, ‘বর্তমানে ইভ্যালিতে ই-কমার্স ছাড়াও আরও বেশ কিছু সফল ডিজিটাল প্লার্টফর্ম যেমন, ইফুড, ইজবস, ইবাজার, ইহেলথ, ফ্লাইট এক্সপার্ট ইভ্যালিতে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে যা কোম্পানির ব্র্যান্ড ভ্যালুকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।’
এতে উল্লেখ করা হয়, ‘আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ও সাম্প্রতিক সময়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর একই ধরনের ব্যবসায়ের মূল্যায়নের প্রেক্ষিতে বর্তমানে ইভ্যালির ন্যূনতম ব্যান্ড ভ্যালু ৫ হাজার কোটি টাকা হয়।’
যার রেফারেন্সে ভারতের ফ্লিপকার্ট এবং জোমাটোর সাম্প্রতিক মূল্যায়নের কিছু তথ্যবহুল রেফারেন্স ও সংবাদ চিত্র দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
তবে তৃতীয় নিরপেক্ষ নিরীক্ষক দিয়ে ব্র্যান্ড ভ্যালু যাচাইয়ের সুযোগ পায়নি বলে চিঠিতে শুধুমাত্র কোম্পানির ব্যায়ের সমপরিমাণ অংশকেই ব্র্যান্ড ভ্যালু হিসেবে উপস্থাপন করেছে তারা। যেখানে কোম্পানির সম্পদ বিবরণীতে কোম্পানির ব্র্যান্ড ভ্যালু ৪২২ কোটি ৬২ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডাব্লিউটিও সেলের মহাপরিচলক (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ হাফিজুর রহমান ইভ্যালির পাঠানো চিঠি পাওয়ার কথা টেকশহরডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।
‘চিঠির প্রথম কোয়েরির জবাব তারা দিয়েছে। এতে কোম্পানির সম্পদ বিবরণীতে কোম্পানির ব্র্যান্ড ভ্যালু ৪২২ কোটি টাকার মতো জানিয়েছে তারা। আর সব মিলিয়ে দায় দেখিয়েছে প্রায় ৫৪৩ কোটি টাকা’ বলছিলেন তিনি।
ডাব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক বলেন, ‘বিভিন্ন কোয়েরি ও তথ্যউপাত্ত নিয়ে উদ্ভুত বিষয়গুলো কীভাবে সুন্দর সমাধান করা যায়, সেই বিষয়গুলোই আমরা দেখছি’
হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা কারও ব্যবসা বন্ধ করতে চাই না, কাউকে আরোপ বা দমন করাও আমাদের কাজ নয়। আইন ও নিয়মের মধ্যে থেকে তারা যেন ব্যবসা করতে পারে, কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়, গ্রাহক যেন ভালো সেবা পান- সে বিষয়গুলোই আমরা দেখতে চাই’
‘আমরা বরং নিয়মের মধ্যে ভাল ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিতে তাদের সহযোগিতা করতে চাই’ বলছিলেন তিনি।
ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল টেকশহরডটকমকে জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানিয়ে আসছি।
‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের এই যে তথ্য দেয়া ও একসঙ্গে কাজ করা দেশের ই-কমার্স খাতের গ্রাহকদের আরও ভালো সেবা নিশ্চিত করবে। মানুষ এখন স্বচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে পারবে’ বলছিলেন তিনি।
গত ১১ আগস্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে ইভ্যালির কাছে কয়েকধাপে সময় দিয়ে বিভিন্ন তথ্য চাওয়া হয়। এরমধ্যে ১৫ জুলাই পর্যন্ত কোম্পানির সম্পদ ও দায়ের বিবরণ, গ্রাহকের নিকট মোট দেনার পরিমাণ এবং সংশ্লিষ্ট গ্রাহক সংখ্যা আর মার্চেন্টদের নিকট দেনার পরিমাণ, গ্রাহক ও মার্চেন্টদের দায় পরিশোধের সময়বদ্ধ পরিকল্পনার বিষয়গুলো রয়েছে।
দেশে ডিজিটাল ব্যবসায় অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে মো. হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে কাজ করছে ১৯ সদস্যের পরামর্শক কমিটি । ২০২০ সালে সেপ্টেম্বরে গঠিত ওই কমিটিতে একজন সদস্য সচিব ছাড়াও অংশী প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিত্ব রয়েছে।
এরমধ্যে সাম্প্রতিক ই-কমার্স ইস্যুতে নতুন একটি কমিটি কাজ শুরু করেছে। যার প্রধানও মো. হাফিজুর রহমান। এই কমিটিতে প্রতিযোগিতা কমিশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ও আইনজীবী রয়েছেন।
গত ১১ আগস্ট এই কমিটিই ইভ্যালির কাছে বিভিন্ন তথ্য চেয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় এবং ১২ আগস্ট এ বিষয়ে চিঠি পাঠায়।
Amra cai evaly abr ager rupe fire asuk…r kicu na
একটা কোম্পানি যখন খারাপ সময় পার করে,তখন সবার উছিত তাদের পাশে এসে সাপোর্ট দেওয়া, সেইখানে ইভ্যালিকে পেসার দেওয়া হচ্ছে। এটা সত্যি দুভাগ্য জনক।
ইভ্যালি দেশের জন্য ভালো কিছু করুক এবং সকলের মঙ্গল কামনা করি।