![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : টিকটকসহ সামাজিক প্লাটফর্মগুলোতে অসম্ভব জনপ্রিয় এক মুখোশধারী ব্যক্তি। তিনি তার ছবি বা প্রকৃত নাম, কোনটিই দেন না। সবসময় মুখোশের আড়ালে থেকে ক্যামেরার সামনে আসেন। কিন্তু এর পরও ‘দ্য গ্রেট লনডিনি’ নামে তার আইডিতে লাখ লাখ ফ্যান-ফলোয়ার। তিনি অনলাইনে এমন সব কাজ করেন, যা মানুষকে তার প্রতি কৌতুহলী করে তুলছে।
কোনো কিশোর যদি অনলাইনে কাউকে বিরক্ত বা হেনস্থা করে, লনডিনি সেই কিশোরের তথ্য জোগাড় করে তার অভিভাবক বা স্কুল কর্তৃপক্ষকে সেটি জানিয়ে তাকে এ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করে। আর কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি যদি কাউকে অনলাইনে বার্তা বা মন্তব্যের মাধ্যমে যৌন হয়রানী করে, তাহলে তার প্রতিষ্ঠানের কর্তা বা স্থানীয় পুলিশ বিভাগকে এই ব্যাপারে অবগত করবে, যাতে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হয়।
এ কাজগুলো করতে হলে, সংশ্লিষ্ট আইডির ব্যবহারকারীর পরিচয় জানাটা জরুরি, সেটিও কিভাবে যেন জোগাড় করে ফেলে দ্য গ্রেট লনডিনি নামধারী এই আগন্তুক। ছদ্মবেশী এই ব্যক্তিটি অনলাইনে লিও নামেও পরিচিত, তবে এটিও তার আসল নাম নয়। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোপন অবস্থান থেকে একটি গণমাধ্যমের সাক্ষাতকারে অংশ নেন।
“কিন্তু এই কাজগুলোতে টিকটক বা সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের মডারেটরের, আপনার নয়!” এমন কথার প্রেক্ষিতে লিও’র জবাব হলো, তারা সেই কাজ যথাযথভাবে করছে না!
গত দুই মাসে তার আইডিতে দুই মিলিয়নেরও বেশি ফলোয়ার যুক্ত হয়েছে। ক্যামেরার সামনে কথা বলার সময় কণ্ঠটা পরিবর্তন করে তিনি এক ভয়ংকর রূপ ধরেন। তার বক্তব্য হচ্ছে, তিনি সোশ্যাল মাধ্যমকে সাইবার বুলিং, প্যাডোফিলস, স্ক্যামার ও ট্রল থেকে যথাসাধ্য মুক্ত রাখতে চান।
যারা অনলাইনে ট্রল করে, তাদের অনেকেই সাধারণত নিজেদের পরিচয় গোপন রাখেন। কিন্তু এসব ব্যক্তির পরিচয় রহস্যময় উপায়ে বের করে ফেলেন লিও। তিনি মূলত সাইবার সিকিউরিটি ও ইথিক্যাল হ্যাকিং নিয়ে কাজ করেন। এসব কাজ করতে গিয়ে তিনি এ পর্যন্ত বহু হুমকিও পেয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।
সূত্র : ইন্টারনেট/টিআর/আগস্ট ১৬/২০২১/১৭০৩