![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : গ্রাহক পণ্য বুঝে পাওয়ার পরই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্যমূল্য পাবে- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল।
মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ‘গণমাধ্যমের সূত্রে বিষয়টি আমরা জেনেছি। বিষয়টিকে আমরা স্বাগত জানাই। এছাড়াও শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে একটি এসওপি সার্ভিস ডেভেলপ করা হবে। যাতে পণ্য ডেলিভারির আগে পেমেন্ট নেয়া না হয়। ব্যাংক বা ক্রেডিট কার্ড যাদের আছে, তারা পেমেন্ট কন্ট্রোল করবে।’
রাসেল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোন ই-কমার্স নীতিমালা নেই যেটির জন্য ইভ্যালি নিজেও দীর্ঘদিন অ্যাডভোকেসি করে আসছে। আজকের এই সিদ্ধান্ত সেই নীতিমালা প্রণয়নের প্রথম ধাপ বলেই বিশ্বাস করি। এর ফলে গ্রাহক, মার্চেন্ট, মার্কেটপ্লেসসহ পুরো ইকো-সিস্টেমই উপকৃত হবে। যেকোনো রেগুলেটরি থেকে আসা সিদ্ধান্ত শুধু ইভ্যালি না বরং সবার জন্যই প্রযোজ্য হবে।’
বৃহস্পতিবার ই-কমার্স নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান জানান, ই-কমার্সে গ্রাহক পণ্য বুঝে পাওয়ার পর ডেলিভারি নিশ্চিত করলে বিক্রেতা মূল্য পাবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গেটওয়ের মাধ্যমে এই লেনদেন হবে।
বৈঠকের পর ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ই-কমার্স সংক্রান্ত মিটিংয়ে ই-ক্যাব হতে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল যে, এসওপি অর্থাৎ ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর জন্য পরিচালনা নীতিমালা দ্রুত প্রণয়ন করার জন্য এবং এসক্রো (ESCROW) সার্ভিস চালু করার জন্য। এই দুইটা প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
‘আপাতত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রস্তাব অনুযায়ী ব্যাংকগুলোর কাছে ইনস্ট্রাকশন পাঠানো হবে যে ক্রেতারা পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে যখন পেমেন্ট করবে তা ক্রেতার কাছে পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার পর ইকমার্স কোম্পানিগুলো টাকা পাবে। ক্যাশ অন ডেলিভারি আগের মতই থাকবে’ বলেন তিনি।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেল, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ এবং ই-ক্যাব প্রতিনিধিরা অংশ নেন।