![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ফেইসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কন্টেন্ট প্রকাশ ও প্রচারে নিজেদের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড অন্যদের ওপর চাপানো বিশ্বের সরকারগুলোর কাছে একটি বড় ঝুঁকি ।
ঢাকায় সম্প্রতি একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জঙ্গিবাদ তৎপরতার বিরুদ্ধে তরুণ সমাজ ও সরকারের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
মন্ত্রী বলেন, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্সসহ পৃথিবীর বহু দেশ এই বিষয়ে আইন করেছে। ভারত আইন প্রণয়নের বিষয়টি চিন্তা করছে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, অপপ্রচারের মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি অত্যন্ত জঘন্য কাজ। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তথা ব্যক্তির সামাজিক নিরাপত্তার স্বার্থে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিষয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর মন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ডিজিটাল মিডিয়ায় জঙ্গিরা যেভাবে সংগঠিত উপায়ে সারা পৃথিবীতে প্রভাব বিস্তার করছে তার বিপক্ষে রাষ্ট্রসমূহের রাজনৈতিক ভূমিকা সমৃদ্ধ নয়। এসব অপপ্রয়াস রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করার বিকল্প হতে পারে না ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেইসবুক সম্প্রতি সরকারের সাথে কিছুটা সহযোগিতা প্রদান করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ফেইসবুকের এখন বাংলাদেশ ডেস্ক রয়েছে, নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি সাথে তারা যোগাযোগ রক্ষা করছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল আইনের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমের বিষয়ে জোরালো আইনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। জুয়া ও পর্নোসাইটসহ ক্ষতিকর ওয়েবসাইট বন্ধ করতে সরকার সক্ষমতা অর্জন করেছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা ডিজিটাল মাধ্যমে জঙ্গি তৎপতার বিরুদ্ধে জনগণকে বিশেষ করে তরুণ সমাজকে সাথে নিয়ে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তারা বলেন, সরকার ও জনগণকে এক সাথে কাজ করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিষয়ে প্রয়োজনে আইন করতে হবে বলে তারা সরকারের কাছে দাবি জানান।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠনে অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, অনলাইন এক্টিভিস্ট মারুফ রসুল ও অমি রহমান পিয়াল এবং সাংবাদিক সাব্বির খান বক্তব্য রাখেন।