![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : দেশের স্টার্টআপগুলোতে বিনিয়োগের ধারা অব্যাহত রাখতে চায় ইভ্যালি।
কোম্পানিটি এ খাতে দুই থেকে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ।
সম্প্রতি দেশের অন্যতম অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি ফ্লাইট এক্সপার্ট-এ বিনিয়োগের পর বুধবার ‘বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট-২০২১’ এর অনুষ্ঠানে এমন ঘোষণা দেন ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল ।
ইভ্যালি ‘বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট-২০২১’ এর অন্যতম পৃষ্ঠপোষকও।
মোহাম্মদ রাসেল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে তাঁর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। দেশে ভালো ভালো সম্ভাবনাময় স্টার্টআপ তৈরি হচ্ছে এবং একইসাথে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্যও বিনিয়োগবান্ধব দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ।
দেশের স্টার্টআপে দুই থেকে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করে রাসেল বলেন, বাংলাদেশে স্টার্টআপ ব্যাপক সম্ভাবনাময়। দেশের প্রযুক্তি খাতে এটির আরও বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ খাতে শুরু করা উদ্যোক্তারাও সাফল্যের মুখ দেখছে। সম্ভাবনাময় এ খাতকে সরকারও বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে। ফান্ডিং ছাড়া বড় হওয়া খুবই কষ্টকর। একটা স্টার্টআপ ভালো করার প্যারামিটার হলো ফান্ডিং। এ ফান্ডিং তখনি বিদেশিরা আগ্রহ প্রকাশ করবে যখন স্থানীয় বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে আসবে।
‘ইতোমধ্যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে যে, স্টার্টআপে যেখানে বিনিয়োগের সুযোগ থাকবে সেখানে দুই কোটি থেকে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত ইভ্যালি বিনিয়োগ করবে। আপাতত এটা বিগ এর মাধ্যমে করা হবে। পরবর্তীতে এর পরিধি আরও বাড়ানো হবে’ বলেন তিনি।
ইভ্যালির উদাহরণ দিয়ে এই উদ্যোক্তা আরও বলেন, ইভ্যালি স্টার্টআপ থেকে শুরু করেছিল। করোনায় সবার জন্যই খারাপ সময় গেছে। তবে করোনা ই-কমার্সের জন্য ইতিবাচক কিছু দিক নিয়ে এসেছে। আজকে হয়তো ইভ্যালি অনেকটা সফল করোনার কারণে এবং দেশের অবকাঠামো এর কারণে। কিন্ত অন্যান্য স্টার্টআপ যারা আছেন তাদের জন্য এখন সহযোগিতার হাত উম্মুক্ত রইলো ।
অনুষ্ঠানে ইভ্যালিসহ দেশীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রশংসা করেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
পলক বলেন, আজকের কোভিড দুর্যোগে মানুষের ঘরে ঘরে সেবা পৌঁছে দিচ্ছে উদ্যোক্তারা। সাফল্যের নজির স্থাপন করেছে ই-ভ্যালির মতো স্টার্টআপগুলো। তারা এখন ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এছাড়াও ওয়ালটন দেশের সীমানা পেড়িয়ে এখন সিলিকন ভ্যালিতে নিবন্ধিত হচ্ছে। বড় বড় গ্রুপগুলো এখন অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টমেন্ট করতে আগ্রহ প্রকাশ করছে। উদ্যোক্তাদের বড় করে তুলতে দেশের প্রত্যেকটি হাইটেক পার্কে ছয় মাসের জন্য ফ্রি কো-ওয়ার্কিং স্পেস দেওয়া হচ্ছে। দেশজুড়ে তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্যোক্তা ক্যাম্পাস গড়ে তুলছে স্টার্টআপ বাংলাদেশ। করোনকালে নতুন নতুন উদ্ভাবনগুলো আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।