![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ফ্রেডি ফিগারসের বয়স যখন ৯, তখনই তাকে প্রথম কম্পিউটার কিনে দেয়া হয়। তখন তিনি আদতে কম্পিউটারের কিছুই বুঝতেন না, কিন্তু এর প্রতি কৌতুহল ও ভালোবাসা তৈরি হয়। প্রযুক্তির প্রতি টান থেকেই এক সময় হয়ে ওঠেন উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তা।
তার ছোটবেলার দিনগুলো সুখকর ছিল না, শৈশব-কৈশোরে আসল মায়ের সান্নিধ্য পাননি। তার পালক বাবাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে উত্তরে বলেন, “শোনো, তোমার ছোটবেলায় তোমার আসল মা তোমাকে ছেড়ে চলে যায়। তারপর আমরা তোমাকে নিয়ে আসি। এখন তুমিই আমাদের সন্তান।”
তার মা তাকে পরিত্যক্ত জায়গায় রেখে চলে যান। সেখান থেকে তার পালিত বাবা-মা নাথান ও বেথি নিয়ে এসে নিজ সন্তানের মতো বড় করেন। এই ঘটনা তিনি ৮ বছর বয়সে প্রথম জানতে পারেন।
নাথান-বেথি দম্পতি তাকে আদর-স্নেহ দিয়ে বড় করলেও বাইরের পরিস্থিতি ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত। আশেপাশের প্রতিবেশী সমবয়সী ও স্কুলের সহপাঠীরা তাকে দেখে হাসাহাসি করতো, স্কুল বাস থেকে নামিয়ে দিতে চাইতো। কারণ সে দেখতে কালচে ছিল!
এতো প্রতিকূলতার মধ্যেও তিনি থেমে যাননি। নিজেকে একজন দক্ষ প্রোগ্রামার হিসেবে তৈরি করেন।
এক পর্যায়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ একটি সংস্থায় একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম ডেভেলপের ডাক পান, এর জন্য তারা তাকে ৬ লাখ ডলারের প্রস্তাব পান। তিনি সুযোগটা লুফে নেন এবং সফলভাবে কাজটি সম্পন্ন করেন। এর পর তাকে আর পেছনে ফিরতে হয়নি। এরপর প্রতিষ্ঠা করেন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ফিগারস কমিউনিকেশন।
৩১ বছর বয়সের এই মিলিয়নিয়ার উদ্ভাবক মনে করেন, একজনের বর্তমান পরিস্থিতি দেখেই তাকে চূড়ান্তভাবে সংজ্ঞায়িত করা উচিত না।
সূত্র : ইন্টারনেট/টিআর/জুন ৬/২০২১/১৯০৭