![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : করোনা পরিস্থিতিতে গত বছরের পর থেকে বিশ্বজুড়েই মানুষজন অনেকটা ঘরবন্দী জীবনযাপন করছে। লকডাউনের কারণে খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে বারণ করছে কর্তৃপক্ষ। ঘর কেন্দ্রীক জীবনযাপনের কারণে অফিসের কাজ, ব্যবসা, কেনাকাটা, বিনোদন, সোশ্যালাইজিং, সময় কাটানোসহ অনেক কিছুই হচ্ছে অনলাইনে। তাই অনলাইন ব্যবহারকারীর সংখ্যা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে অনেক বেশি। কিন্তু এর মধ্যেও তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে আছে নারীরা।
জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগের দিক থেকে পুরুষদের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে আছে নারীরা। আফ্রিকায় ইন্টারনেট সুবিধা পাচ্ছেন ৩৭ শতাংশ পুরুষ, অথচ এই সুবিধাপ্রাপ্তিতে নারীদের সংখ্যা মাত্র ২০ শতাংশ। অর্থাৎ পুরুষদের তুলনায় প্রায় অর্ধেক।
ঘানায় নারী ও শিশুদের জন্য খোলা প্রযুক্তি স্কুল সুরনকো একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা রেগিনা হনু বলেন, “যদি তাদের (বিশেষ করে নারীদের) ডিজিটাল দক্ষতা বা প্রযুক্তি জ্ঞান না থাকে, তাহলে তারা পিছিয়ে পড়বে।” তিনি জানান, করোনার আগে আমরা যখন প্রযুক্তি শিক্ষার জন্য নারীদের আহ্বান করতাম তখন যেখানে ১০০ থেকে ২০০ জনের মতো নারী নিবন্ধন করতো, সেখানে আজ (করোনার পরে) দুই হাজারেরও বেশি সংখ্যক নারী নিবন্ধন করছে। করোনার প্রেক্ষিতে অনেকেই বুঝতে পারছে, ডিজিটাল দক্ষতা কতটা জরুরী।
দরিদ্র দেশ ঘানায় বাস্তব অবস্থাটা এমন যে একজন সাধারণ শিক্ষার্থী স্কুলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কম্পিউটার স্পর্শ করারও সুযোগ নেই। এছাড়া লিঙ্গ বৈষম্য তো আছেই! অনেক সময় দেখা যায়, কোনো বাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগ আছে কিন্তু সেটা কেবল পরিবারের পুরুষ সদস্যদের জন্য। সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে নারীরা সেখানে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পান না।
সামাজিক বৈষম্যের পাশাপাশি আর্থিক স্বচ্ছলতাটাও একটি বড় অন্তরায়। যার স্মার্টফোন বা কম্পিউটার কেনার সামর্থ্য নেই, তার পক্ষে ইন্টারনেট ব্যবহার করা অসম্ভব প্রায়!
নারীরা সাইবার স্পেসে শুধু বৈষম্যের শিকারই হচ্ছে না, হেনস্থারও শিকার হচ্ছেন এই লকডাউন পরিস্থিতিতে। পাকিস্তানের লাহোর কেন্দ্রীক একটি হেল্পলাইনে করোনাকালীন ফোন কল ৫০০ শতাংশ বেড়ে গেছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হচ্ছে ডিজিটাল হয়রানী সংশ্লিষ্ট কল।
সূত্র : ইন্টারনেট/মে ২৩/২০২১/১৬১০