![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : রূপকল্প ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর বাস্তবায়ন ও প্রযুক্তির ব্যবহার জনজীবনকে সহজ, স্বাভাবিক ও সাবলীল করে দিয়েছে ।
আর এতে সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সময় ও খরচ কমিয়ে দারিদ্র বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বৃহস্পতিবার ইউএএডিপির সহয়তায় বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস), মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই যৌথভাবে আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে স্থানীয় সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনীতে এ কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা মো মুরাদ হাসান ।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুত ও পানির বিল দেয়ার জন্য এখন আর আমাদের ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে অপেক্ষা করতে হয় না। কোনো বিষয় সম্পর্কে জানতে অথবা প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে হন্যে হয়ে কোথাও ঘুরতে হয় না। প্রযুক্তি এখন আমাদের জীবনকে সহজ, স্বাভাবিক ও সাবলীল করে দিয়েছে।’
বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বেউদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক ড. আব্দুল মান্নান।
অনুষ্ঠানে বাসসের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুর রহমান স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
অবাধ তথ্য প্রযুক্তির বহুমাত্রিক বিকাশ দেশের তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানে তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে বলে উল্লেখ করে মুরাদ হাসান বলেন, আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে তরুণরা ঘরে বসে বিশ্বের নানা প্রান্তে নানা দেশে ওয়েব ভিত্তিক নানা সমস্যা সমাধান করছে।
‘আমাদের তরুণরা এক্ষেত্রে অনেক দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে। আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে এবং সফটওয়ার রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণরা বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছে,’ বলেন তিনি।
প্রযুক্তির এই সুবিধাকে শুধু শহর কেন্দ্রিক না রেখে, এর সুফল গ্রামীন জনপদে ছড়িয়ে দিতে সরকার প্রতিটি ইউনিয়নে তথ্য সেবা কেন্দ্র চালু করেছে বলেও উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, এখন সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার প্রবেশ পত্র ও ফলাফল সংগ্রহ, ভিসা প্রসেসিং, বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল প্রদান, ছবি তোলা, ভিডিও কনফারেন্সে যোগাযোগ করাসহ সকল ধরনের সেবা ডিজিটাল পদ্ধতিতেই ঘরে পাচ্ছে। এর ফলে এসব সেবা পেতে আর গ্রামীণ বাসিন্দাদের শহরে আসতে হয় না। ফলে, তাদের সময় ও অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে এবং বেঁচে যাওয়া সময় ও অর্থ অন্য কাজে লাগানোর মাধ্যমে দারিদ্র দূর করতে সহায়ক হচ্ছে।
এটুআই-এর কার্যক্রম তুলে ধরে প্রকল্প পরিচালক ড. আব্দুল মান্নান বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল গ্রামীণ মানুষকে ডিজিটাল সেবার আওতায় আনা। কিন্তু বর্তমানে সারাদেশে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে ২৯০ টিরও বেশি সেবা প্রদান করা হচ্ছে। যা সাধারণ মানুষকে সফলতার সাথেই ডিজিটাল সুবিধাগুলো দিচ্ছে।
কর্মশালার সমাপনী পর্বে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বাসসের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুর রহমান সমাপনী পর্বে সভাপতিত্ব করেন।
বাসসের সিটি এডিটর ও পরিচালনা বোর্ডের সদস্য মধূসুধন মন্ডল, প্রধান বার্তা সম্পাদক (বাংলা) রুহুল গনি সরকার জ্যোতি, এটুআইর কমিউনিকেশন অফিসার মামুনুর রহমান এবং এটুআইর ন্যাশনাল কনসালটেন্ট ও মিডিয়া আউটরিচ এবিএম আদনান ফয়সাল উদ্ভোধনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন।
বাসসের বিশেষ প্রতিনিধি ও ইনফোটেইনমেন্ট ইনচার্জ মাহফুজা জেসমিন কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন।
কর্মশালায় বাসসের ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের ১৮ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।