![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : লাভ না করলেও মোট আয়ের উপর ২ শতাংশ করকে ‘অন্যায্য’ উল্লেখ করে এর থেকে রেহাই চায় রবি।
মোবাইল অপারেটরগুলোর ক্ষেত্রে কোনো কোম্পানি মুনাফা না করলেও মোট আয়ের উপর বা বিভিন্ন উৎসে জমাকৃত অগ্রিম আয়করে সর্বনিম্ন একটি কর রয়েছে। সেটি ২০১৯-২০ অর্থবছরে পৌনে এক শতাংশ হতে ২ শতাংশে করা হয়।
ন্যূনতম এই কর রবির মুনাফা অর্জনের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে, গত কয়েকটি প্রান্তিকের হিসাব অন্তত তাই বলছে। শুধু তাই নয়, এই করের প্রভাবে তালিকাভুক্ত টেলিযোগাযোগ কোম্পানিগুলোর জন্য কর্পোরেট করে (৪০ শতাংশ) যে কিছুটা ছাড় দেয়া হয়েছে সে সুবিধা পায় না রবি।
রবির এমডি ও সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলছেন, এটা একদমই অন্যায্য। লোকসান হলেও মোট আয়ের উপর কর, এ কেমন ন্যায্যতা ?
তিনি উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, দেশে মদ বিক্রির প্রতিষ্ঠানকে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ, কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে শূন্য দশমিক ৫ থেকে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ, তামাকের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ যে কর সেখানে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা রাখা বিনিয়োগকারীদের এর চেয়ে বেশি দিতে হচ্ছে ।
নীতিনির্ধারকরা এবার এই কর তুলে দেবেন আশা জানিয়ে মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ন্যায্যতা চাই। লোকসানেও কর দেয়া তো অসাংবিধানিক।
শেয়ারবাজারে এসে কী সুবিধা পেলেন এমন প্রশ্ন রেখে রবি সিইও বলেন, মাত্র ৫০০ টাকার জন্য রবির শেয়ার বাজারে যাওয়ার দরকার ছিলো না। এটা করা হয়েছিলো নীতিনির্ধারকদের আশ্বাসে।
কিন্তু সবই তো আশ্বাসই এখন পর্যন্ত, বলছিলেন তিনি। পুঁজিবাজারে গিয়ে কর্পোরেট করের ছাড়ের কোনো সুবিধাই এখনও তুলতে পারেননি।
রবির চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, রবি ও বাংলালিংকের ২ শতাংশ করের সমস্যাটাই প্রধান। গ্রামীণফোনের ক্ষেত্রে এর প্রভাব নেই। এই ২ শতাংশ করের কারণে রবির মোট কর্পোরেট কর গিয়ে পৌঁছায় ৮৯ শতাংশ। ১০০ টাকা লাভে ৮৯ টাকাই দিয়ে দিতে হয়।