ইলেকট্রিক কারের পরিত্যক্ত ব্যাটারিগুলোর কী হবে?

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ইউরোপীয় ইউনিয়ন আশা প্রকাশ করেছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ মিলিয়ন কার ইউরোপের রাস্তায় নামবে। ইলেকট্রিক কারের উৎপাদন ইউরোপসহ বিশ্বে ব্যাপক হারে বাড়ছে। এর প্রেক্ষিতে এসব গাড়ির পরিত্যক্ত ব্যাটারির সংখ্যা ভবিষ্যতে আশঙ্কাজনকভাবে বাড়বে। পরিবেশের ক্ষতি কার এসব ব্যাটারি বাড়লে কেমন পরিস্থিতি হবে, তা নিয়ে সতর্ক করেছেন বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও বার্মিংহাম সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক ইলিমেন্টস অ্যান্ড ক্রিটিকাল ম্যাটেরিয়ালস ডক্টর পল অ্যান্ডারসন।

পরিবেশের ঝুকি কমাতে বিজ্ঞানীরা ব্যাটারির উপাদানে পরিবর্তন আনার জন্য কাজ করছেন। এছাড়া পুরনো বা পরিত্যাক্ত ব্যাটারিকে আবার পুনরায় ব্যবহারের উপায় নিয়েও কাজ করছে কয়েকটি গাড়ি ও ব্যাটরি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নও ইলেকট্রিক ভেহিকল (ইভি) সরবরাহকারীদের ব্যাটারিগুলোকে এমনভাবে তৈরি করার প্রস্তাব দিয়েছে, যাতে এগুলো পুরনো বা নষ্ট হয়ে গেলেও ফেলে দেয়ার দরকার না হয়, আবার পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করা যায়।

গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নিশান ইতোমধ্যে তাদের পুরনো ব্যাটারি নতুন করে ব্যবহার উপযোগী করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। জার্মান গাড়ি নির্মাতা ভক্সওয়াগনও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের জার্মানির সালজিটারে রিসাইকেলিং প্ল্যান্টে পরীক্ষামূলকভাবে বছরে ৩,৬০০ ব্যাটারি সিস্টেম উৎপাদন করা সম্ভব হবে।    

Techshohor Youtube

ভক্সওয়াগনের রিসাইকেলিং প্ল্যানিংয়ের প্রধান থমাস টিজে বলেন, “আমাদের ব্যাটারি রিসাইকেলিং প্রক্রিয়ায় ব্যাটারিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপাদান পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করছি। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে কোবাল্ট, নিকেল, লিথিয়াম ও ম্যাঙ্গানিসের ওপর।“ ব্যাটারিতে থাকা অ্যালুমুনিয়াম ও কপারের ভাঙ্গা অংশকেও এই রিসাইকেল প্রক্রিয়ায় আওতায় নেয়া হচ্ছে।

ফ্রেঞ্চ গাড়ি নির্মাতা রেনল্টও ব্যাটারি রিসাইকেলিং প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

সূত্র : ইন্টারনেট/টিআর/এপ্রিল ২৮/২০২১/২১৩৫

*

*

আরও পড়ুন