![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : দেশ ও দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ফেইসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার সময় এসেছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
শনিবার ঢাকায় ইন্টারনেট গভার্ন্যান্স ফোরাম আয়োজিত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন- ২০১৮’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারের ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন মন্ত্রী বলেন, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রকে নিরাপদ রাখতে এই আইনটির প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।
অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভারত ও সিঙ্গাপুরসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান আইনের উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশ ও মানুষের নিরাপত্তা বিধানে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের সময় এসেছে। সবার আগে দেশ ও দেশের মানুষ ।
তিনি নাসির নগর, রামু, নোয়াগাঁও কিংবা ঝিকাতলাসহ বিভিন্ন সময় ডিজিটাল যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটা অপ্রীতিকর ঘটনার উদাহরণ দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জনবান্ধব সরকার। জনগণের প্রয়োজনে যদি আইন প্রয়োগের কিংবা বিদ্যমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধন প্রয়োজন হয় তবে তা সরকার করবে।
‘ডিজিটাল আইন না থাকলে কিংবা এই আইন সম্পুর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করলে ডিজিটাল দুনিয়ায় বসবাস করা সম্ভব হবে না। নারী– শিশুসহ নতুন প্রজন্ম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিনিয়ত হেনস্থা হচ্ছেন। একই সাথে সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস, মৌলবাদ ও রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণা চূড়ান্ত ভাবে বেড়ে চলেছে। এসব মোকাবেলা করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেরই সহায়তা প্রয়োজন হচ্ছে। এই আইনের বদৌলতে ২২ হাজার পর্ন সাইট ও ৪ হাজার জুয়ার সাইট বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছেনা’ বলছিলেন তিনি।
‘ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে, পাইরেসি, কপিরাইট ও ট্রেডমার্ক ভায়োলেশন হচ্ছে। এসব বন্ধ করতে আইনের প্রয়োগ অপরিহার্য’ বলছিলেন মন্ত্রী।
সংগঠনের সভাপতি, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. শামীম রেজা, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী এডভোকেট ফারহানা হক, টিআরএনবি সভাপতি সাংবাদিক রাশেদ মেহেদী, ফাইভার এট হোমের চিফ টেকনোলজি অফিসার সুমন আহমেদ সাব্বির বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এডভোকেট খন্দকার হাসান মাহমুদ।
এডি/২০২১/এপ্রিল১০