![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : নিরাপদ ইন্টারনেট ও ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) আয়োজিত ‘সেফ ইন্টারনেট’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বুধবার এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত আধুনিক ডিভাইস এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাথে সাথে ডিজিটাল অপরাধের সংখ্যাও বাড়ছে। আইনশৃ্ঙ্খলা বাহিনী অনুযায়ী ডিজিটাল নিরাপত্তা প্রদানকারী সদস্যের সংখ্যা অপ্রতুল। নিরাপদ ইন্টারনেট থেকে শুরু করে ডিজিটাল নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষতা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়াতে পারলেও প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জাতিকে পুরোপুরি সচেতন করে তোলা যায়নি। এটা রাতারাতি হয়ে যাওয়ার মতো বিষয়ও নয়। শিক্ষার্থীদের আগে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করতে দেয়া হতো না। করোনাকালে ডিজিটাল ডিভাইস ছাড়া শিক্ষার্থীরা শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে সংযুক্ত হতে পারছে না।
‘সমস্যা হলো, সন্তানরা ডিজিটাল ডিভাইসের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলতে পারলেও অভিভাবকরা এখনও প্রযুক্তিবান্ধব নন। তাই অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা গেলে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিত করা যাবে’ বলছিলেন তিনি।
নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের পাশাপাশি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কেও উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানান তিনি।
ওয়েবিনারে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) এর উচিৎ ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে যেসব বাসায় শিশু বা শিক্ষার্থী রয়েছে সেসব বাসায় বিনামূল্যে অভিভাবক সচেতনতা প্রদান করা। এতে শিশুদের ইন্টারনেটে অনেকাংশে নিরাপদ রাখা সম্ভব হবে। গ্রামাঞ্চলের দিকে অভিভাবকদের মধ্যে ডিজিটাল ডিভাইস এবং ইন্টারনেট সম্পর্কে জ্ঞান নেই বললেই চলে। অনেকাংশে শিক্ষকদের মধ্যেও ডিজিটাল জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা দেখা যায়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন বলেন, ইউনিয়ন পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। যতো সেবা বাড়বে তত এই সেবার সাথে সম্পৃক্ত লোকের সংখ্যা বাড়বে। তাই ইন্টারনেট সচেতনতা এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর দেশৗয় বিকল্প তৈরির ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে। ফেইসবুক ফিল্টারিং ব্যাপারেও ভবিষ্যতে কাজ করার কথা বলেন তিনি।
বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর বলেন, নিরাপদ ইন্টারনেটের অন্যতম শর্ত হলো ইন্টারনেট ব্যবহারের সচেতনতা। শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেটে নিজের ভাষায় পর্যাপ্ত কনটেন্ট পাচ্ছে না। যার কারণে ইতিবাচক বিষয়ের চেয়ে নেতিবাচক বিষয়ের প্রতি শিক্ষার্থীরা ঝুঁকে পরছে। শিশুদের জন্য উপযুক্ত কনটেন্ট তৈরির পাশাপাশি যুব সমাজকে সময়ানুবর্তিতার ব্যাপারেও সচেতন করতে হবে।
বিসিএস মহাসচিব মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
ইনোভিশন কনসাল্টিং প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রুবায়েত সরওয়ারের সঞ্চালনায় বিটিআরসি পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ, ফাইবার এট হোমের প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ সুমন, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সহযোগী অধ্যাপক ড. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, ৭১ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবুসহ জিপি, রবি, বাংলালিংক এবং টেলিটকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ওয়েবিনারে আলোচনা করেন।
এডি/২০২১/এপ্রিলে০৮