![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : মহামারির সময় গ্রুপ চ্যাট করার পরিমাণ অনেক বেড়েছে। লকডাউনে পুরানো বন্ধদের গ্রুপ, আত্মীয়-স্বজনের গ্রুপ, সহ-কর্মীদের গ্রুপ ও এলাকার বন্ধুদের গ্রুপএ চ্যাট করে অনেকে সামাজিক বিচ্ছিন্নতার দিনগুলো পার করেছেন। তবে এতো এতো গ্রুপে একসঙ্গে যোগাযোগ রাখায় অনেকে সোশ্যাল ওভারলোড সমস্যায় ভুগছেন।
গ্রুপ চ্যাটের কোনো নোটিফিকেশন আসলে অনেকেরই অস্থিরতা শুরু হয়ে যায়। কে ম্যাসেজ দিলো, কী ম্যাসেজ দিলো তা জানার পর রিপ্লাই দেওয়ার চাপ তৈরি হয়।
আমেরিকান সাইকোলোজিকাল অ্যাসোসিয়েশনের হেলথ কেয়ার ইনোভেশনের ডিরেক্টর ভাইল রাইট জানিয়েছেন, এই সমস্যার সমাধান অন্য কেউ করে দেবে না। ম্যাসেজের রিপ্লাই দিতে না চাইলে তা সরাসরি বলতে হবে। অন্যরা এতে কষ্ট পেলেও নিজের স্বার্থে সত্যি বলতে হবে। যেমন এবার আমি ম্যাসেজ দিতে পারলাম না তবে পরের বার গ্রুপ কলে আমাকে অ্যাড কোরো- এ ধরণের কথা বললে জটিলতা আরও বাড়বে।
তার মতে, দ্রুত আপডেট পাওয়ার জন্য কিংবা মিম শেয়ারের জন্য গ্রুপ চ্যাট বেশ কাজের। তবে মানসিক সহায়তা চাওয়ার ক্ষেত্রে কিংবা সুখ দুঃখের আলাপের জন্য গ্রুপ চ্যাট সুবিধাজনক নয়। এর চেয়ে ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলা ভালো। এতে মানুষ সহমর্মী হতে পারে, ফলে সম্পর্ক দৃঢ় হয়।
স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির মনোবিদ ইলিয়াস আবুজাদে জানান, মহামারি শুরুর প্রথম দিকে গ্রুপ চ্যাট যোগাযোগের জন্য ভালো ব্যবস্থা ছিলো। তবে ম্যাসেজের রিপ্লাই দেওয়া নিয়ে মানসিকভাবে চাপে থাকার বিষয়টি অনেক ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
বিবিসি অবলম্বনে এজেড/ ফেব্রুয়ারি ০৯/২০২১/১৮.৪৫
আরও পড়ুন