এআই জানালো কৃষ্ণাঙ্গদের ব্যাথা বেশি

হাঁটু ব্যাথা। ছবি : বিবিসি

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : হারক্ষয় হলে সবার শরীরের একই রকম ব্যাথা হয় না। ব্যাথার পরিমাণ কতোটা হবে তা বর্ণের উপরেও নির্ভর করে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) দিয়ে হাঁটু এক্সরে করে হারক্ষয় রোগের ব্যাথার তারতম্য বোঝার চেষ্টা করেছেন তারা।

৪ হাজার ১৭২ জন রোগীর উপর জরিপ চালিয়ে ৩৬ হাজার ৩৬৯ টি বিষয় পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকরা।

যেসব বিষয় রেডিওলোজিস্টদের চোখ এড়িয়ে গেছে সেগুলো এআই শনাক্ত করেছে।গবেষণায় দেখা গেছে, হাড়ক্ষয়ের ক্ষেত্রে শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যমে ব্যাথার তারতম্য ঘটে থাকে। রেডিওগ্রাফিক গ্রেডিং সিস্টেমে কৃষ্ণাঙ্গদের ব্যাথা সঠিকভাবে পরিমাপ করা যায় না। তবে অ্যালগরিদমের মাপকাঠি অনুযায়ী, তাদের ব্যাথার পরিমাণ বেশি।

Techshohor Youtube

রোগীর হাঁটুতে কী পরিমাণ ব্যাথা হচ্ছে, তা অনুমান করতে এআইকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। গবেষণায় উঠে এসেছে, শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় কৃষ্ণাঙ্গরা বেশি কষ্ট পেলেও ব্যাপারটিকে ডাক্তাররা কম গুরুত্ব দেন। এতে কৃষ্ণাঙ্গদের চিকিৎসায় ব্যাপক প্রভাব পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রে গত কয়েক বছর ধরে স্বাস্থ্য খাতে এই বৈষম্য চলে আসছে। 

বর্ণবাদ বিরোধী এক সংগঠনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা পাওলা হুইলার বলেন, অনেকে একারণে ডাক্তার দেখাতেও আগ্রহী হন না।

কোন ব্যাথা কী কারণে হচ্ছে সে বিষয়েও অ্যালগোরিদমের কাছ থেকে ব্যাখ্যা পাওয়া গেছে। অর্থোপেডিক্সের চিকিৎসক সান্দ্রা হবসনের মতে, এই গবেষণা থেকে বহু ধরণের তথ্য পাওয়া গেছে। ভবিষ্যতে এগুলো কাজে লাগবে।

প্রচলিত গবেষণায় সব ধরনের রোগীর তথ্য নেওয়া সম্ভব হয় না। কখনও নারীরা তো কখনও আবার বয়স্করা বাদ পরেন। এআইয়ের মাধ্যমে সবার ডেটা নিয়ে গবেষণা করা যাচ্ছে। বর্ণ, লিঙ্গ ও বয়স ভেদে বিভিন্ন তথ্য সামনে আসছে। এতে বিভিন্ন সেক্টরে চলে আসা দীর্ঘদিনের বৈষম্যও ধরা পারছে।

বিবিসি অবলম্বনে এজেড/ ফেব্রুয়ারি ০৬/২০২১/১২.২

*

*

আরও পড়ুন