হাইক মেসেঞ্জারের বিদায়, কারণ জানালেন ভারতী

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ২০১২ সালে যাত্রা শুরু করেছিল ভারতভিত্তিক মেসেজিং অ্যাপ হাইক মেসেঞ্জার (হাইক স্টিকার চ্যাট)। ওই সময়টাতে প্রতিদ্বন্দ্বী কম ছিল, জনপ্রিয় হয়ে ওঠাও তুলনামূলক সহজ ছিল। তাছাড়া ভারতের বিশাল জনসংখ্যাও হাইকের যাত্রা পথের অনুকূলে ছিল। কিন্তু পরিচিতি পেলেও চলমান বাস্তবতায় প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে শেষতক পেরে ওঠেনি অ্যাপটি।

মাস কয়েক আগে ভারতে চীনা বেশ কিছু অ্যাপের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এছাড়া হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারসহ বিদেশি অ্যাপগুলোর ডেটা প্রাইভেসি নিয়ে জনমতে প্রশ্ন-সন্দেহ দেখা দেয়। সে বিচারে নিজ দেশের অ্যাপের দিকে ঝুঁকে পড়ে অনেকে। আন্তর্জাতিকভাবে জনপ্রিয় অ্যাপগুলোও হাইককে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবতে শুরু করে।

কিন্তু সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ বয়কট করার দাবিতে বিশ্বব্যাপী যে সোরগোল ওঠে, এর ফায়দা তুলে নেয় অধিক নিরাপত্তা ফিচার সমৃদ্ধ সিগনাল, বিপ ও টেলিগ্রাম। মাস খানেক ধরে এসব অ্যাপের এতটাই প্রচার-প্রসার হয়েছে যে, নাম্বার ওয়ান অ্যাপের (হোয়াটসঅ্যাপ) ভবিষ্যতই গোলমেলে হওয়ার দশা।

Techshohor Youtube

এছাড়া আরো একটি সমস্যা ছিল। বহুল ব্যবহৃত অ্যাপ না হওয়ায় হাইক ব্যবহারকারীরা অন্যদের সঙ্গে বিশেষ করে বিদেশে অবস্থানকারীদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তেন। কারণ অন্যদের মধ্যে বেশিরভাগই হাইকের পরিবর্তে বৈশ্বকভাবে প্রচলিত অ্যাপগুলো ব্যবহার করেন।

এই বাস্তবতা সামাল দিতে পারেনি হাইক। ভারতী এয়ারটেলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সুনিল ভারতী মিত্তালের ছেলে কাভিন ভারতী মিত্তাল (হাইকের প্রধান নির্বাহী) ২১ জানুয়ারি এক টুইট বার্তায় হাইকের ইতি টানার ঘোষণা দেন।

এই অ্যাপের পেছনে বিনিয়োগের বড় অংশ ছিল চীন ভিত্তিক টেনসেন্টের।

সূত্র : ইন্টারনেট/টিআর/জানুয়ারি ২৭/২০২১/১৫১২

*

*

আরও পড়ুন