![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : লস এঞ্জেলসের একটি ছোটখাটো মেক্সিকান রেস্তোরাঁয় গিয়ে টর্টা (এক ধরনের স্যান্ডউইচ) অর্ডার দিলেন সারা স্টিওয়ার্ট। খানিক বাদে যখন বিল পরিশোধের জন্য গেলেন, দেখলেন তার মুখয়ব কাউন্টারের মনিটরে ভাসছে।
ওই স্ক্রিনে বিলের পরিমাণ উল্লেখ করে তাকে একটি সাক্ষর দিতে হয়েছে। ব্যস, হয়ে গেলো! তাকে ব্যাংকের কার্ড বের করতে হয়নি, ওমনি বিল পরিশোধ হয়ে গেলো। বিলের অর্থটা তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেয়া হলো। পেমেন্টের পুরো ব্যাপারটা ৫ সেকেন্ডেই হয়ে গেলো।
এই ঘটনাটি পড়ে কী মনে হচ্ছে? বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী? বিজ্ঞানের এ যুগে আগেরকার অনেক অসম্ভবই এই সময়ে এসে বাস্তবে রূপ নিয়েছে। আর কেনাকাটা বা বিল পরিশোধে কার্ডের জায়গাটি একদিন পুরোপুরি বায়োমেট্রিক বা মুখয়ব পদ্ধতির (ফেসিয়াল রিকগনিশন পেমেন্ট) দখলে যাবে!
আমাদের কাছে এমন বাস্তবতা সুদূরের ভবিষ্যত মনে হলেও এর চল সীমিত পরিসরে হলেও ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। চীনের প্রধান কিছু শহরের বিপণি কেন্দ্রগুলোতে দিনে কয়েক লক্ষ পেমেন্ট হয় ফেসিয়াল রিকগনিশন পদ্ধতিতে। যুক্তরাষ্ট্র, ডেনমার্ক এমনকি নাইজেরিয়ার কয়েকটি জায়গায়ও পরীক্ষামূলকভাবে এ ধরনের পেমেন্ট পদ্ধতি চালু হয়েছে।
এই পদ্ধতিতে একেক জনের স্বতন্ত্র মুখয়বকেই তার ডিজিটাল আইডেন্টিটি হিসেবে ব্যবহার হয়েছে, যার সঙ্গে ব্যাংক ও এ সংশ্লিষ্ট সিস্টেমের একরকম সংযোগ রাখা হয়েছে।
এই পদ্ধতির অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ডেটা সিকিউরিটি ও প্রাইভেসি। তবে প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় সহজ উদ্ভাবনে উদ্ভূত সমস্যারও হয়তো সমাধান হয়ে যাবে।
সূত্র : ইন্টারনেট/টিআর/জানুয়ারি ২৬/২০২১/০৯০৫
আরও পড়ুন
ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি নির্ভরযোগ্য নয়!