![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ১১ বছরের অনন্তি এই বয়সেই জনপ্রিয় ইউটিউবার হয়ে গেছে। ৫ বছর বয়স থেকেই সে ভিডিও বানানো শুরু করে। এখন তার চ্যানেল ‘মাই মিস আনান্দ’ এ তার সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ৯ মিলিয়ন।
বর্তমানে ভারতের শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলো তাকে ৩ হাজার থেকে ৬ হাজার ডলার দিতে আগ্রহী। বাবা-মা তার আয়ের একটি অংশ রেখে দিচ্ছেন ভবিষ্যতের জন্য। যাতে বিদেশে পড়তে গেলে সে অর্থ সংকটে না পড়ে।
সারা বিশ্বের কম বয়সী ইউটিউবারদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছ, এ বছর ডিজিটাল বিজ্ঞাপন থেকে সম্মিলিতভাবে তাদের আয় হবে ১.৭ বিলিয়ন ডলার।
তবে অর্থ আয় করাই শেষ কথা নয়। শিশু বা কিশোর বয়সে ইউটিউবের লাইক বা কমেন্টের চাপ সামলানো অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। যেমন প্রনয় নামের এক ইউটিউবার মাত্র ১৪ বছর বয়সে গ্যাজেট রিভিউয়ের চ্যানেল টেক থিউরি চালু করেছিলেন। লাইক, কমেন্ট ও সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা নিয়ে এতো বেশি মাথা ঘামাতেন যে রাতে ঘুমাতে পারতেন না। একটা সময় নিজেকে গুটিয়ে নিলেন। নিজের মধ্যে স্থিরতা আনতে কিছুদিন সময় নেন। তারপর আবার ভিডিও বানানো শুরু করলেন।
মনোবিদ রোমা কুমারের মতে, কিশোর বয়সি ইউটিউবাররা অন্যদের কাছে নিজের কাজের বৈধতা চায়। অর্থ ও খ্যাতি সামলানো তাদের জন্য বেশ কঠিন।
তাই ছোটদের জন্য আলাদা করে নীতিমালা তৈরির প্রয়োজন আছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
বিবিসি অবলম্বনে এজেড/জানুয়ারি ২৪/২০২০/১৯৪০