![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : প্লেন নির্মাতা কোম্পানি এয়ারবাসের দুর্নীতির তথ্য বের করতে গিয়ে চোখে সর্ষে ফুল দেখেছিলেন ফরেনসিক রিস্ক এলায়েন্সের কর্মকর্তা ইউজার খলিল।
কোনো মানুষের পক্ষেই কোটি কোটি ফাইল ঘেঁটে তথ্য বের করা সম্ভব নয়। তার দলের ৭০ সদস্যের কাজ ছিলো বিভিন্ন নথি, ইমেইল ও ম্যাসেজ ঘেঁটে এয়ারবাসের দুর্নীতির তথ্য খুঁজে বের করা। কাজটি করতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সহায়তা নেওয়া হয়। প্রথমে এআই ব্যবহার করে ৫০০ মিলিয়ন ফাইল থেকে অপ্রাসঙ্গিক ও ডুপ্লিকেট ফাইল বাদ দেওয়া হয়।
এরপরে অবশিষ্ট ৬০ মিলিয়ন ফাইল থেকে দুর্নীতির তথ্য বের করা ছিল আসল চ্যালেঞ্জ। এয়ারবাসের ৮০০ কর্মী এই কাজে তাদের সহায়তা করেন। তারাই এই ডকুমেন্টগুলোর জিম্মাদের ছিলেন।
সাতটি দলে ভাগ হয়ে ডকুমেন্টগুলো যাচাই বাছাই করেন তদন্তকারীরা। যে কম্পিউটারগুলোতে তারা কাজ করেছেন সেগুলোতে কোনো ইন্টারনেট ছিলো না।অভ্যন্তরীণ গোপনীয় তথ্যের নিরাপত্তা বজায় রেখে শুধু দুর্নীতির তথ্য বের করতে তারা বিশেষ একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করেন। ঘুষ আদান প্রদানের ক্ষেত্রে কোড ব্যবহার করা হয়। যেমন ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনের মধ্যে কী তথ্য লুকানো আছে তা খুঁজে বের করে এআই।
ইউরোপের সবচেয়ে বড় এরোস্পেস মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি এয়ারবাস বড় বড় চুক্তি হাতিয়ে নিতে ২০টি দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়েছিলো। এই তথ্য প্রকাশের পর ২০১৬ সালে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স যৌথভাবে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। ৪ বছর মেয়াদী ডিফার্ড প্রোসিকিউশন অ্যাগ্রিমেন্টের (ডিপিএ) আওতায় এয়ারবাসও নিজেদের শুদ্ধিকরণের উদ্যোগ নেয়। ওই তিন দেশকে জরিমানা দেয় ৩ বিলিয়ন পাউন্ড। বিশ্বের আনাচে কানাচে ছড়ানো দুর্নীতির তথ্য সামনে এনে দেশগুলোতে নিষিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকিও এড়ায় এয়ারবাস। গত বছর জানুয়ারিতে ডিপিএ চুক্তির অনুমোদন দেয় লন্ডন হাই কোর্ট।
বিবিসি অবলম্বনে এজেড/ জানুয়ারি ১৯/২০২০/১১৩৭
আরও পড়ুন
এআই মেশিনগানে পরমানু বিজ্ঞানীর ওপর নির্ভুল হামলা