গো-জেকের বিনিয়োগ সম্পর্কিত তথ্যকে অ্যাকাউন্টিং ট্রিটমেন্ট বলছে পাঠাও

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ইন্দোনেশিয়াভিত্তিক ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম প্রতিষ্ঠান গো-জেক এর পাঠাওয়ে বিনিয়োগ করা সম্পর্কিত তথ্যকে শুধুমাত্র একটি অ্যাকাউন্টিং ট্রিটমেন্ট বলছে পাঠাও।

টেকশহরডটকমকে পাঠানো এক বিবৃতিতে শনিবার এ বক্তব্য দেয় প্রতিষ্ঠানটি।   

Techshohor Youtube

গো-জেক পাঠাওকে দেয়া ১৭ মিলিয়ন ডলার ‘রাইট অফ’ ঘোষণা করেছে। ১৭ মিলিয়ন ডলার বা ১৪৪ কোটি টাকাকে লোকসান হিসেবে দেখছে গো-জেক। সিঙ্গাপুরভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক গণমাধ্যম টেকইনএশিয়ার এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। টেকইনএশিয়ার সোর্সে শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে এ বিষয়ে প্রতিবেদন করে টেকশহরডটকম। 

পাঠাও তাদের বিবৃতিতে বলে, ‘সম্প্রতি পাঠাও সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। উক্ত প্রতিবেদনে মে ২০১৯ সালে (অর্থাৎ এক বছর আগের) পাঠাও-এ গো-জেকের বিনিয়োগ সম্পর্কিত হিসাবের একটি তথ্য প্রদান করা হয়েছে, যা কিনা শুধুমাত্র একটি একাউন্টিং ট্রিটমেন্ট। উল্লেখ্য যে, গো-জেক এখনো পাঠাও-এর অন্যতম প্রধান শেয়ারহোল্ডার।’  

প্রতিষ্ঠানটি উল্লেখ করে, ‘বাংলাদেশের দ্রত বর্ধনশীল ডিজিটাল খাতে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে পাঠাও এখন পর্যন্ত শক্তিশালী ভুমিকা রেখে চলেছে। অচিরেই এমন আরও কিছু সার্ভিস নিয়ে আসার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে যেগুলো প্রযুক্তিনির্ভর জীবনকে আরও সহজ ও নির্ভার করবে। আশা করছি ২০২১ সালে আমরা বিশ্ব-বাজারের দিকে দৃষ্টি দেওয়ার মতো সক্ষমতা অর্জন করব।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘২০২০ সালে পাঠাও তার আর্থিক ও অবকাঠামোগত স্থায়িত্ব এবং সেবা গ্রহীতাদের সর্বোত্তম সুবিধার দিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব প্রদান করেছে। এই দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মকৌশল  একটি কোম্পানি হিসেবে পাঠাওয়ের ওপর গ্রাহকদের আস্থা ও নির্ভরতা বহুগুণে বৃদ্ধি করেছে। ফলে, এ সময় প্রতিটি ব্যবসায়িক শাখা (যেমন রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি এবং ই-কমার্স লজিস্টিক ইত্যাদি) আর্থিক স্থিতিশীলতার সঙ্গে পরিচালনা করার মাধ্যমে মার্কেট লিডার হিসেবে আমাদের অবস্থান আরও বেশি সুদৃঢ় হয়েছে। আমাদের সেবাগ্রহীতারা ডিজিটালাইজেশন-কে ভালোভাবে গ্রহণ করায় পাঠাও দ্রুত মহামারীর প্রভাব কাটিয়ে আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে।’ 

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘গত বছরজুড়ে আমরা আমাদের প্ল্যাটফরমে প্রযুক্তিভিত্তিক সৃজনশীল উদ্ভাবনের মাধ্যমে কয়েকটি নতুন সার্ভিস বাজারে এনেছি (যেমন – নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার সদাই ও সামগ্রীর হোম ডেলিভারি সার্ভিস, ই-কমার্স, স্বাস্থ্যসেবা, বিনোদন ও গেমস ইত্যাদি)। এসব বহুমুখি সেবার মাধ্যমে আমরা পাঠাও-কে দেশের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার দিকে বহুধাপ অগ্রসর হতে পেরেছি।’ 

পাঠাওয়ের বিনিয়োগকারী ও অ্যাঙ্করলেস বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাহাত আহমেদ ফেইসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টির ব্যাখ্যা দেন এভাবে, ‘ বাংলাদেশের জন্য পাঠাও অনেক বড় একটি স্টার্টআপ। গো-জেকের মার্কেট ভ্যালু ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। তাই পাঠাওকে দেয়া ১৭ মিলিয়ন ডলার ‘রাইট অফ’ ঘোষণা করা তাদের জন্য কঠিন কিছু নয়। তবে শেয়াররূপে অর্থ পেতে তাদের আরও সময় লাগবে। বৈশ্বিকভাবে এই ‘রাইট-অফ’ বড় কোনো ইস্যু নয়। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বিবেচনা করলে, পাঠাও একদম দেউলিয়া হয়ে যায়নি বরং অর্থ ফেরাতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে তাদের বেশি সময় লাগছে।’

এডি/এজেড/ ২০২১/জানুয়ারি০৯/২০১০

আরও পড়ুন 

পাঠাওয়ে বিনিয়োগ করে ফেঁসেছে গো-জেক, ১৪৪ কোটি টাকা লোকসান

পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা খুন

সরেজমিন : পিছিয়ে পড়ছে পাঠাও

*

*

আরও পড়ুন