![]() |
আল-আমীন দেওয়ান, টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : নতুন বছরের ৬ মাসের মধ্যে এক লাখ মামলার ৫ কোটি পাতা ডিজিটাল ফরম্যাটে আনছে সরকার।
‘মিশন ডিজিটাল কোর্ট-২০২১’ প্রকল্পের আওতায় এই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
এতে ২০০০ সাল হতে ২০২০ সাল পর্যন্ত ২০ বছর সময়ের মামলার নথিপত্রগুলো স্ক্যান করে ডিজিটাইজেশনে আনা হবে।
বিসিসি বুধবার এ বিষয়ে দরপত্র আহবান করেছে।
সাধারণত মামলার নথিপত্রগুলো সুপ্রিম কোর্টে বিশেষ ব্যবস্থায় বছরের পর বছর সংরক্ষিত থাকে। নতুন উদ্যোগে এগুলো যথাযথ স্ক্যানিং সিস্টেমে আনা, তালিকা ও সূচিপত্রকরণ, ছবি, পিডিএফ ফরম্যাটে সংরক্ষণ এবং ডকুমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে আপলোড করা হবে। আর এই সিস্টেম বিসিসির ন্যাশনাল ডেটা সেন্টারে হোস্ট করা থাকবে।
ডকুমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ওয়েব বেইজড অ্যাপ্লিকেশন হবে। পুরো পদ্ধতিটি এন্ড টু এন্ড, ফ্লেক্সিবল, স্কেলেবল এবং ওপেনসোর্স টেকনোলজি বেইজড হবে।
প্রকল্পটিতে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে ১ লাখ মামলার কাগজপত্র স্ক্যানিং এবং ডিজিটাইজেশন করা হবে। যেখানে প্রতিটি মামলার ফাইলে গড় পেইজ সংখ্যা ৫০০। ইনডেক্সকরণ, সার্চিং অপশন, বারকোড-কিউআর কোডসহ প্রয়োজনীয় আধুনিক প্রযুক্তিতে এই জিজিটাইজেশন করা হবে। যেখানে সহজেই অনলাইনে এই নথিপত্র প্রয়োজনমাফিক খুঁজে পাওয়া যায়।
জুডিশিয়ারির নানাবিধ তথ্য প্রদান প্রক্রিয়া ও সেবার বিভিন্ন দিক ডিজিটাল করতে ‘মিশন ডিজিটাল কোর্ট-২০২১’ প্রকল্প। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে ডিজিটাল ফাইলিং, মামলার সকল নথি ডিজিটাল আর্কাইভিং এবং সার্ভার স্থাপনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
সম্প্রতি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এ প্রকল্প সম্পর্কে বলেন, ভবিষ্যতে ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়ে মিশন ডিজিটাল কোর্ট-২০২১ অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা রাখবে ।
দেশে ২০২০ সালের ১১ মে থেকে সারাদেশে ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে ৫০ হাজারের বেশি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বিচার বিভাগের ইতিহাসে এই প্রথম সর্বোচ্চ আদালতে এখনও ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচারকাজ হচ্ছে।
এদিকে দেশের উচ্চতর ও অধস্তন আদালতকে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিসম্পন্ন হিসেবে গড়তে ‘ই-জুডিশিয়ারি’ প্রকল্প আসছে। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সহায়তায় আইন মন্ত্রণালয় দুই হাজার ৮৭৬ কোটি টাকার পাঁচ বছর মেয়াদি একটি উন্নয়ন প্রকল্প পরিকল্পনা করেছে।
এডি/২০২০/ডিসেম্বর৩১/১৬২০