![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিরল : তথ্যপ্রযুক্তির অলিম্পিক খ্যাত ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (ডব্লিউসিআইটি) সম্মেলনে উইটসা গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স পুরস্কার জয়ীদের সম্মাননা দিয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস)।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি অডিটরিয়ামে ‘উইটসা অ্যাওয়ার্ড সেলিব্রেশন ২০২০’ এ সম্মাননা দেয়া হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, কোভিডকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট সজীব ওয়াজেদ জয়ের সহযোগিতা, সুপরামর্শ এবং তত্ত্বাবধানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসনিক ও বাণিজ্যিক এবং বিচারিক কার্যক্রম সাড়ে নয় মাস চালু ছিল। আর তাই উইটসার কাছ থেকে স্বীকৃতি ।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড এন্টারপ্রনোউরশিপ একাডেমি তৈরি করে দিয়েছিলেন। সেই একাডেমি মাত্র চার বছরের মধ্যে একটি দুইটি নয়, একশ আটান্নটি কোম্পানিকে মনিটরিং, মেন্টরিং এবং ফান্ডিং করে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সহযোগিতা করেছে।
অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে উইটসা চেয়ারম্যান ইয়ানিস সিরোস বলেন, বিসিএসসহ বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো করোনাকালে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তারই স্বীকৃতি উইটসা অ্যাওয়ার্ড।
বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রগতির প্রশংসা করে উইটসার মহাসচিব ড. জেমস এইচ. পয়সান্ট বলেন, বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে আগামীর বিশ্বকে প্রযুক্তি খাতে নেতৃত্ব দেয়ার দাবিদার।
অনুষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, প্রযুক্তি খাতের সফলতার কারণে দেশে কর্মসংস্থান বেড়েছে। দক্ষ মানবশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বেকারত্বের হার অনেকাংশে কমে গেছে। শহর গ্রামের পার্থক্য আজ নেই বললেই চলে।
বিসিসি নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দে বলেন, বাংলাদেশের ছয়টি টিম দেশের জন্য সম্মাননা এনে দিয়েছে। এটা গৌরবের বিষয়।
এ সময় ছয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে ক্রেস্ট ও সম্মাননা তুলে দেয়া হয়। বিজয়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা তাদের অভিজ্ঞতাগুলো উপস্থাপন করেন।
সভাপতির বক্তব্যে বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর বলেন, উইটসা অ্যাওয়ার্ড তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অব আইটি (ডব্লিউসিআইটি) কে বলা হয় তথ্যপ্রযু্ক্তির অলিম্পিক। ডব্লিউসিআইটি সম্মেলনে প্রতিবছর পৃথিবী জুড়ে তথ্যপ্রযুক্তিতে অবদান রাখার জন্য এই খাতের বিভিন্ন মানুষ এবং প্রতিষ্ঠানকে উইটসা সম্মাননা প্রদান করে।
অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিসিএস সহ-সভাপতি মো. জাবেদুর রহমান শাহীন, মহাসচিব মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, যুগ্ম-মহাসচিব মো. মুজাহিদ আল বেরুনী সুজন, কোষাধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, পরিচালক মোশারফ হোসেন সুমন ও মো. রাশেদ আলী ভূঁঞাসহ বিসিএস সদস্য, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নভেম্বর অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিস অ্যালায়েন্সের (উইটসা) এই সম্মেলনে ৪টি বিভাগে রানার-আপ এবং ২টি বিভাগে মেরিট পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো ।
উইটসার এই গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২০ এ মোট ১০টি বিভাগে ১০ চ্যাম্পিয়ন ও রানার-আপ এবং ২১টি মেরিট পুরস্কার ছিলো।
রানার-আপ পুরস্কার পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, কোভিড ১৯ টেক সলিউশনস ফর সিটিজ অ্যান্ড লোকালিটিজ বিভাগে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের এটুআই প্রকল্প এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিনেসিস আইটি লিমিটেড।প্রাইভেট পার্টনারশিপ বিভাগে সরকারের ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ একাডেমি (আইডিয়া) প্রকল্প। ইনোভেটিভ ই-হেলথ সলুসনস বিভাগে মাইসফটের মাই হেলথ বিডি এবং ভার্চ্যুয়াল হসপিটাল অব বাংলাদেশ।
ই-এডুকেশন অ্যান্ড লার্নিং বিভাগে বিজয় ডিজিটাল।
এছাড়া মেরিট পুরস্কার পেয়েছে ডিজিটাল অপরচুনিটি অর ইনক্লুশন বিভাগে নগদ এবং সাসটেইনেবল গ্রোথ বিভাগে ডিভাইন আইটি লিমিটেডের প্রিজম ইআরপি।
এডি/২০২০/ডিসেম্বর২৮/২১৩২