২০২১ : প্রযুক্তি দুনিয়ার সম্ভাবনা ও শঙ্কা

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : বড় বড় প্রযুক্তি ফার্মের কর্তাব্যক্তিদের জন্য নতুন বছরটা (২০২১) যুতসই নাও হতে পারে। কারণ একদিকে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতার সম্ভাবনা, অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় আইনী খড়গ। সাম্প্রতিক সময়কার ঘটনাপ্রবাহের ফলে সহজে আন্দাজ করা যাচ্ছে- ফেইসবুক, আমাজন, অ্যাপল ও গুগলের জন্য নতুন বছরটা হবে চ্যালেঞ্জিং। আবার একই সঙ্গে কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরিবর্তন-বির্বতন ও ইতিবাচক সুযোগ তৈরির সম্ভাবনাও রয়েছে।

ফেইসবুকের বিরুদ্ধে একট্টা!
চলতি মাসের শুরুতে মার্কিন ফেডারেল রেগুলেটরস ও ৪৫ জনেরও বেশি স্টেট প্রসিকিউটরস ফেইসবুকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ আনেন। তাদের মতে, ফেইসবুক নিজের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে তার সম্ভাব্য ছোট প্রতিদ্বন্দ্বীদের থামিয়ে দিতে চায়। এমনকি প্রয়োজন মনে করলে কিনে নিয়ে নিয়ন্ত্রণও নিশ্চিত করেছে।
এছাড়া সম্প্রতি ইউরোপিয়ান কমিশন ও যুক্তরাজ্য ডিজিটাল সার্ভিসেস ও ডিজিটাল মার্কেটস নিয়ে নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে আসছে নতুন প্রশাসন। ইতোপূর্বে বাইডেন বিভিন্ন ইস্যুতে বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে ফেইসবুকের কড়া সমালোচনা করেছেন। সুতরাং, ধরে নেওয়া যায় তার শাসনামলে বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর কিছু কার্যক্রমে লাগাম লাগতে পারে!

Techshohor Youtube

উড়োপথে নতুন খেলোয়ার
বিমান খাতের জন্য চলতি বছরটা কোনোভাবেই ভালো যায়নি। করোনার কারণে এ খাতে রীতিমতো ধ্বস নেমেছে। ব্যয়বহুল খাত হওয়ায় বাজার সংকুচিত হওয়ায় এর নেতিবাচক প্রভাবটাও খুব বেশি। সামনের বছর অবস্থা মোকাবেলায় তৈরি হচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে নতুন খেলোয়ার, বিখ্যাত বিলাসবহুল গাড়ি নির্মাতা ‘রোলস-রয়েস। আর সবচেয়ে বড় কথা, তারা দ্রুতগতির ইলেকট্রিক উড়োযানের উদ্ভাবন করেছে। এই উড়োযান ঘণ্টায় ৩০০ মাইলের চেয়ে বেশি গতিতে চলবে। যদি তা-ই হয়, তাহলে গ্রাহকদের জন্য সুসংবাদ হলেও প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য এটি রীতিমতো দুঃসংবাদ।

এদিকে, এ খাতের উন্নয়ন নিয়েও গবেষণা চলছে। চলতি সেপ্টেম্বরে হাইড্রোজেন-চালিত উড়োযানের তিনটি ধারণা দিয়েছে বিশ্বখ্যাত উড়োযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস। ২০২১ সালে বড় ড্রোন (ইউরো ড্রোন) নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে এয়ারবাসের সঙ্গে জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন ও ইটালির চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে।

খুচরা ব্যবসায় বিবর্তন
সাধারণ খুচরা বিক্রেতাদের জন্য বছরটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। লকডাউনের কারণে দীর্ঘ সময় দোকান বন্ধ ছিল। কিন্তু মানুষ কি না খেয়ে থেকেছে? তারা অনলাইন কেনাকাটায় ওপর আগের চেয়ে অনেক বেশি ঝুঁকেছে। আগে যারা অনলাইন অর্ডারে অভ্যস্ত ছিল না, তারাও বাধ্য হয়ে অনলাইন গ্রাহক হয়েছে এবং এর সুবিধা বুঝে গেছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে অনেকেই খুচরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিবর্তন ঘটিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর করেছেন।

‘বাড়িতে বসে অফিস’ জারি থাকবে
করোনাকালে ‘বাড়িতে বসে অফিস’ করার যে পদ্ধতির প্রচলন হয়েছে। এটি করোনা পরবর্তী সময়েও চালু থাকবে বলে মনে করছেন অনেকেই। সিসিজি ইনশাইটের নীরিক্ষা বলছে, ইউরোপ-আমেরিকার ৬০ শতাংশ ব্যবসায়িক নেতারা মনে করছেন, করোনার পরও ২৫ শতাংশ অফিস কর্মীদের বাসায় বসে অফিস করার পদ্ধতি জারি থাকবে। বড় বড় বহু প্রতিষ্ঠানও ইতোমধ্যে কর্মীদের বাসায় থেকে কাজের সুযোগ দিয়েছে এবং এ সুযোগ আরো দীর্ঘ সময় পর্যন্ত বহাল করেছে।

সূত্র : অনলাইন, টিআর/ডিসেম্বর ২৫/২০২০/২০৪১

*

*

আরও পড়ুন