![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ফাইজার ও বায়োএনটেকের তৈরি টিকা সর্বপ্রথম ব্যবহার করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। ইতোমধ্যে তারা প্রথম চালান হাতে পেয়েছে।
ফাইজারের ভ্যাকসিনগুলো ৬ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে। তবে এগুলো রাখতে হবে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। অর্থাৎ টিকা সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজন হবে ক্লিনিকাল ফ্রিজ ও কোল্ড স্টোরেজের।
টিকা পরিবহনের সময়ও নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ধরে রাখতে হবে। তাই বিশেষ ধরণের ট্রান্সপোর্ট বক্স তৈরি করেছে ফাইজার। শুষ্ক বরফের সঙ্গে এতে থাকবে জিপিএস ট্র্যাকার। ১০ দিনের জন্য প্রতিটি বক্স ৫ হাজার ডোজ টিকা সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করবে। তবে শর্ত হলো, এই অবস্থায় বক্স খোলা যাবে না। পোলার থার্মাল নামের আরেকটি কোম্পানি অন্যান্য ভ্যাকসিনের জন্য একই ধরণের বক্স তৈরি করেছে। কোম্পানিটির হেড অব সেলস পল হ্যারিসন জানিয়েছেন, ট্রান্সপোর্ট বক্সে ৫ দিন পর্যন্ত মাইনাস ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ১২শ’ ভ্যাকসিন রাখা যাবে। ৫ হাজার পাউন্ড দামের বক্সগুলো বার বার ব্যবহার করা যাবে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার জানিয়েছে, ভ্যাকসিন পরিবহনে অতিরিক্ত সময় পাওয়া যাবে না। একবার বরফ গলা শুরু হলে ভ্যাকসিনগুলো ৫ দিন পর্যন্ত ঠিক থাকবে। তবে সমস্যা হলো, সবখানে কোল্ড স্টোরেজ নেই। ঠেকার কাজ চালাতে ইউনিভার্সিটির রিসার্চ ল্যাবগুলোকে কাজে লাগানো হবে।
কিন্তু সব দেশ যুক্তরাজ্যের মতো ধনী নয়, আফ্রিকান দেশগুলোতে কোল্ড স্টোরেজ বা রিসার্চ ল্যাব চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। তাই কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন সংরক্ষণে ৬৫ হাজার ক্লিনিকাল ফ্রিজ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে ইউনিসেফ। এগুলো চলবে সোলার পাওয়ারে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে এসব ফ্রিজ স্থাপনে সময় লাগবে ১ বছর।
আরও পড়ুন
ভ্যাকসিন নিয়ে ছড়াচ্ছে আজব ধরণের গুজব